দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে হারের পর চট্টগ্রাম টেস্টে নেমেছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের প্রথম দুইদিন শেষে ব্যাকফুটে রয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে আজ ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে হারের পর চট্টগ্রাম টেস্টে নেমেছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের প্রথম দুইদিন শেষে ব্যাকফুটে রয়েছে টাইগাররা। দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে আজ ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
দ্বিতীয় দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৯ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের চেয়ে এখনও ৫৩৭ রানে পিছিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। স্বাগতিকদের হাতে আছে ৬ উইকেট।
টানা দুই দিনে ফিল্ডিংয়ের ক্লান্তি কি প্রভাব ফেলেছে ব্যাটিংয়ে? সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের জবাবে টাইগার স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা প্রভাব রাখতে পারে। কিন্তু পেশাদার দল এভাবে ভাবতে পারে না। তাদের যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। চার উইকেট হারানো খুব বড় বিষয় না। একজন কোচের যেকোনো পরিস্থিতিতে বলতে হবে তাদের লড়াই করতে ও বিশ্বাস রাখতে।’
বাংলাদেশের ব্যাটারদের স্কিলের ঘাটতি দেখছেন না মুশতাক, ‘স্কিলের ঘাটতির ব্যাপারে আমি একমত নই। হয়তো ধৈর্যের মাত্রা আরও ভালো হতে পারে। আমার মতে, টেস্ট ক্রিকেট হলো পরিস্থিতি বুঝে খেলার বিষয়। শেষের ৪০ মিনিট… টেস্ট ক্রিকেটে এই ধাপটা আপনাকে পার করতে হবে যখন কঠিন সময় আসবে। আমার মতে, সাদমান খুবই দুর্ভাগা ছিল। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে গেল। এসব জায়গায় দল হিসেবে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
পরে উইকেট নিয়ে মুশতাক বলেন, ‘ক্রিকেট মজার খেলা। ওয়ানডে বা টেস্ট, যাই হোক, এখানে বেসিক ঠিক রাখতে হবে। আপনাকে পরিস্থিতি ও কন্ডিশন বুঝে বেসিকটা ঠিক রেখে খেলতে হবে। এই খেলাটা মূলত বিশ্বাসের। আমি মনে করি, দলের তরুণ ক্রিকেটাররা শিখছে।’
‘জাকির, সাদমানরা বিদেশি কোচ হিসেবে আমার জন্য নতুন। এসব জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। ভুলে গেলে হবে না, পাকিস্তান সিরিজে তারা অনেক ভালো খেলেছে। ২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ার পরও ম্যাচ জিতেছে। বারবার এটা বলায় আমি দুঃখিত। কিন্তু এটাই প্রমাণ, যা আমরা কোচরা দেখিয়ে বলি- তোমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারো। বিশ্বাস রেখে স্কিলে উন্নতি করতে হবে।’-যোগ করেন তিনি।
এসএইচ/এইচজেএস