হত্যা মামলা থেকে প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন

হত্যা মামলা থেকে প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন হত্যা মামলা থেকে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোফাজ্জল হোসেন বকুল।

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন হত্যা মামলা থেকে প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মোফাজ্জল হোসেন বকুল।

তিনি বলেন, আদালত নাম প্রত্যাহারের এফিডেভিটটি গ্রহণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত পহেলা সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন এবং সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেন মামলার বাদী মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার।

এফিডেভিটে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান স্বর্ণশ্রমিক মিলন। ২৭ আগস্ট রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেন, সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে রংপুর কোতোয়ালি মেট্রো থানার কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে গণমাধ্যম সূত্রে বাদী দিলরুবা আক্তার জানতে পারেন মামলায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন ও সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা মিলন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর কোনো প্রকার অভিযোগ নেই বলে এফিডেভিটে উল্লেখ করা হয়।

দিলরুবা বেগমের ছেলে বায়েজিদ হোসেন বলেন, বাবার মৃত্যুর পর পুরো পরিবার শোকাহত ছিল। আমার বাবা হত্যার ঘটনায় মা বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। সেই মামলা থেকে প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার নাম প্রত্যাহারে আবেদন করা হয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *