শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় কৃষকের দুইটি বসতঘর ভেঙে ধান চাল খেয়ে সাবাড় করেছে বন্য হাতির একটি দল। শুক্রবার (২ আগস্ট) মধ্যরাতে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা তারানী ও কালাকুমা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই সময় ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ফল বাগানেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হাতির দলটি।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় কৃষকের দুইটি বসতঘর ভেঙে ধান চাল খেয়ে সাবাড় করেছে বন্য হাতির একটি দল। শুক্রবার (২ আগস্ট) মধ্যরাতে উপজেলার সীমান্তঘেঁষা তারানী ও কালাকুমা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই সময় ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ফল বাগানেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হাতির দলটি।
বন বিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা এলাকার লোকালয়ে প্রায়ই খাদ্যের সন্ধানে নেমে আসে বন্য হাতির দল। এসময় তারা আম, কাঁঠাল, কলা বাগান ধান খেত খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে, তাণ্ডব চালায় বসতবাড়িতে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় খাদ্যের সন্ধানে উপজেলার তারানী ও কালাকুমা এলাকায় তাণ্ডব চালায় ২০-২৫ টি বন্য হাতির একটি দল। এতে তারানী এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কুষানী ব্রজমালার বসতঘর ভেঙে প্রায় ৫০ মণ ধান খেয়ে ও মাটিতে ছড়িয়ে নষ্ট করে এবং কালাকুমা এলাকার কৃষক নাজমুল হোসেনের বসতঘর ভেঙে ঘরে থাকন প্রায় ৪ ঘণ চাল ও ৬ মণ ধান ছড়িয়ে নষ্ট করে হাতির দলটি। এ সময় ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক মিটার, আসবাবপত্র ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি করে হাতির দলটি। পরে হাতির দলটি কালাকুমা এলাকায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের আম, কাঁঠাল, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলবাগানেও তাণ্ডব চালায়।
ভুক্তভোগী কৃষক কৃষক নাজমুল হোসেন বলেন, আকির (হাতির) দল আমার ঘরের সব শেষ কইরা দিছে। সারা বছরের জমানো খাওমুনাও নাই। সারা বছর যে কোয় গুলমু।
সংশ্লিষ্ট রামচক্সকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকা বলেন, হাতির দল উপজেলা চেয়ারম্যানের ফল বাগানসহ দুইজন কৃষকের বসতঘর ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। পাহাড়ে হাতির জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা গেলে লোকালয়ে মানুষ একটু স্বস্তি পেত।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের গোপালপুর রেজ কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করা হবে।
নাইমুর রহমান/আরকে