কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতা ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কারফিউ জারি করেছে গত ১৯ জুলাই। এরপর ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তা নির্ধারিত সময়ে শিথিল করা হয়। রোববারও (৪ আগস্ট) দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী সহিংসতা ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কারফিউ জারি করেছে গত ১৯ জুলাই। এরপর ধাপে ধাপে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তা নির্ধারিত সময়ে শিথিল করা হয়। রোববারও (৪ আগস্ট) দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় কারফিউ শিথিল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল। অন্যান্য জেলায় স্থানীয় প্রশাসন কারফিউর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৩৪ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। অন্য শিক্ষার্থীদেরও জামিন দেওয়া হবে। ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে যারা সরাসরি হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের ছাড়া হবে না।
আন্দোলনের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে তাই অসহযোগ আন্দোলন না করে ঘরে ফেরা উচিত উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন আন্দোলন করছে বিএনপি-জামায়াত। এরপরও দাবি থাকলে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার দ্বার খোলা আছে। তাদের আলোচনায় যাওয়া উচিত।
মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সব সময় দেশের জন্য কাজ করি, এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যা হবে তা মেনে নেব।
ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি মারে, তাহলে তো কেউ বসে থাকবে না। আবার পুলিশ আঘাত পেলে তো সেলফ ডিফেন্স করবেই।
এসএম