শেরপুরে তীর্থোৎসব ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ

শেরপুরে তীর্থোৎসব ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ

শেরপুরের গারো পাহাড়ে বারোমারী সাধু লিও’র খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে দুই দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’র তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠান ঘিরে গারো পাহাড়সহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। এই উৎসবে কয়েক লাখ পুণ্যার্থী অংশ নেবেন। 

শেরপুরের গারো পাহাড়ে বারোমারী সাধু লিও’র খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে দুই দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’র তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠান ঘিরে গারো পাহাড়সহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। এই উৎসবে কয়েক লাখ পুণ্যার্থী অংশ নেবেন। 

শেরপুর সীমান্তে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তীর্থোৎসব ঘিরে বইছে উৎসবের আমেজ। ভারত সীমান্তঘেঁষা বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে আগামী ৩১ অক্টোবর  ও ১ নভেম্বর ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তীর্থ স্থানটি সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে। লাখো পুণ্যার্থীর এই উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে ফাতেমা রাণী মা মারিয়া- এই মূলসুরে এবার ২৭তম তীর্থোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারমারী সাধু লিওর এ ধর্মপল্লীটি ১৯৯৮ সাল থেকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের বুকে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে তৈরি এই ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তীর্থযাত্রা।

প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব। শুধু শেরপুর নয়, দেশ বিদেশের প্রায় লাখো পুণ্যার্থী অংশ নেয় এই তীর্থ যাত্রায়। তীর্থ উৎসবের মূল আকর্ষণ আলোক শোভাযাত্রা। 

এছাড়া রয়েছে প্রার্থনা, নিশি জাগরণ, জীবন্ত ক্রুশের পথ, মহা- খ্রিস্টযোগসহ নানা অনুষ্ঠান। এবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ঢাকা মহা- ধর্ম প্রদেশের সহকারী বিশপ সুপ্রত গমেজ।  ‘প্রার্থনা অনুপ্রেরণা, ফাতেমা রানীর মা মারিয়া’, ‘যে পরিবার একত্রে প্রার্থনা করে, সে পরিবার একত্রে বাস করে’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে তীর্থ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ও বারোমারী মিশনের এই ফাদার তরুণ বানোয়ারী। 

তীর্থ উৎসবে ৩শ এপিপিএন পুলিশসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো পল্লী থাকবে গোয়েন্দা নজরদারীতে। এছাড়া উৎসব চলাকালে নজরদারি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার ও নালিতাবাড়ী সার্কেল মো. দিদারুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম স্যার বারোমারি মিশন ভিজিট করেছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিশনের আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তীর্থ উৎসব ভালোভাবে শেষ করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছি। 

নাইমুর রহমান তালুকদার/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *