শূন্য থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক পলক

শূন্য থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক পলক

প্রথম আলো

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়েও পরিবর্তন হচ্ছে। বিনা মূল্যের এসব পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি। আর এত দিন ধরে চলা পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে থাকা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তাঁর উদ্ধৃতি বাদ যাচ্ছে। একই সঙ্গে ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে বছরের মাত্র দুই মাস বাকি থাকলেও এখনো পাঠ্যবই পরিমার্জনের কাজ শেষ করে ছাপার জন্য প্রস্তুত করতে পারেনি এনসিটিবি। ফলে বছরের শুরুতে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব নতুন বই তুলে দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

দেশ রূপান্তর

নিজের শক্তি বোঝাচ্ছে বিএনপি

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি বড় দল হিসেবে নিজের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি জানান দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গত দেড় দশক আন্দোলন করে আসা দলটিকে কোনোভাবেই যে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়, তা আওয়ামী লীগের আমলেও জানান দিয়েছে দলটি।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের ইস্যু ঘিরে বিএনপির অবস্থানও বলছে, বিএনপিকে বাদ দিয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না। নির্বাচন ও সংস্কারের প্রশ্নেও দলটি তার প্রত্যাশা স্পষ্ট করেছে। দলটির নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ততটা সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হোক। অন্য যেসব সংস্কার সেটা নির্বাচিত সরকার করবে। বিএনপির নিজেরও ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি রয়েছে।

সমকাল

তাপসের ১০০ কোটির সঞ্চয়পত্র

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নামে সঞ্চয়পত্রই ১০০ কোটি টাকার। এ ছাড়া রয়েছে আরও সম্পদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোপন অনুসন্ধানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি 

কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এবার কমিশনের বিশেষ একটি দল অভিযোগটি প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে। সূত্র জানায়, দুদকের গোপন অনুসন্ধানে তাপসের বিরুদ্ধে আরও অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। প্রকাশ্য অনুসন্ধানে তাঁর নামে-বেনামে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেরিয়ে আসবে। 

বণিক বার্তা

তহবিল ব্যয় সর্বনিম্ন, সুদের হার সর্বোচ্চ

দেশের প্রথম সারির ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফআই) তহবিলের বড় অংশই গ্রাহকদের সঞ্চয় ও ক্রমপুঞ্জীভূত উদ্বৃত্ত। এ কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল সংগ্রহ ব্যয় খুবই কম। যদিও স্বল্প সুদের এ তহবিল থেকেই সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছে তারা। উচ্চ সুদে নেয়া এ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দেশের প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) সনদ নিয়ে বর্তমানে দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৭৩১টি বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান। পৃথক আইনে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও এ ঋণ বিতরণ করে থাকে। এমআরএর বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের জুন শেষে দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের মোট তহবিলের আকার ছিল ৩৭ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৯৭ কোটি টাকাই ছিল গ্রাহকের সঞ্চয়। ১৪ হাজার ৩৯ কোটি টাকা ছিল ব্র্যাকের ক্রমপুঞ্জীভূত উদ্বৃত্ত। অলাভজনক না হলে উদ্বৃত্ত থাকা অর্থের পুরোটাই মুনাফার খাতায় নিতে পারত প্রতিষ্ঠানটি।

কালবেলা

ঋণ নিয়ে সোয়া ২ লাখ কোটি টাকার রাজনৈতিক প্রকল্প

শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কে মেঘনা নদীর ওপর টানেল নির্মাণ পরিকল্পনার কথা জানায় বিগত সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয় ৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কাজ শুরু হয়ে তা শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালে। কিন্তু এ প্রকল্পের অগ্রগতি সমীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আর সেই সমীক্ষা বাবদ ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ঢাকা মহানগরীর ইনার রিং রোডের ওপর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নির্মাণ প্রকল্প ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ১২০ কোটি টাকা।

২০২০ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালে। তবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে টাকা ব্যয় করার পর সব থমকে আছে। কেবল এ দুটি প্রকল্পই নয়, এমন ১২টি ঋণনির্ভর প্রকল্প নিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। যেখানে সর্বমোট ব্যয় হওয়ার কথা ২ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনায় এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এগুলো শুধু নেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক বিবেচনায় জনগণকে খুশি করতে। তবে সেসব প্রকল্প এখন আর এগোচ্ছে না; কিন্তু বাস্তবায়ন অযোগ্য এসব প্রকল্পের সমীক্ষা বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ৪৩১ কোটি টাকা।

বণিক বার্তা

পাকিস্তান-শ্রীলংকায় রেকর্ড উচ্চতায় সূচক, বাংলাদেশে অতি নিম্নগামিতা

নানামুখী অর্থনৈতিক সংকটের মুখে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাদের। বিভিন্ন ধরনের সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছে দেশ দুটি। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলংকার পুঁজিবাজারে। বর্তমানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের পুঁজিবাজার।

সর্বশেষ গত ২৫ অক্টোবর শেষে কেএসই-১০০ সূচক ৯০ হাজার ১২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। একই দিকে যাচ্ছে শ্রীলংকার পুঁজিবাজারও। একই সময় সিএসইঅল সূচক দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে। দেশ দুটির তুলনায় অর্থনৈতিক সংকটের মাত্রা কম হলেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। টানা দরপতনের প্রভাবে গতকাল দেশের পুঁজিবাজার কভিডের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।

মানবজমিন

অর্থ পাচার অনিয়মের তদন্ত হচ্ছে

নতুন করে কুইক রেন্টাল চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে না। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ কাজটি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের একটি বড় সিন্ডিকেট। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত বিদ্যুৎ  ও  জ্বালানি বিভাগের চুক্তিসমূহ পর্যালোচনা সংক্রান্ত জাতীয় রিভিউ কমিটি এই নিয়ে মন্ত্রণালয়ে দুই দফা বৈঠকও করেছে। 

এ প্রসঙ্গে কুইক রেন্টালের চুক্তি প্রসঙ্গে-কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম মানবজমিনকে বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চুক্তি বাতিল করতে হবে। কোনো নবায়ন করা চলবে না। কারণ এধরনের অবৈধ চুক্তি যারা করেছেন, তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। যারা সুবিধা নিয়েছেন সেসব ব্যবসায়ী এবং যারা সুবিধা তৈরি করে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছে ভোক্তা অধিকার রক্ষার এই সংগঠনটি।

কালের কণ্ঠ

পাচারের টাকায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী সামিটের আজিজ

ভাই প্রভাবশালী মন্ত্রী। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় শীর্ষ ফোরাম প্রেসিডিয়ামেরও মেম্বার। বলা যায়, ক্ষমতার একদম শীর্ষবিন্দুতে অবস্থান। বাড়তি পাওনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহ আর আশীর্বাদ।

আর কী চাই? রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একেবারে ‘টপে’ থেকে এটিকে মনমতো কাজে লাগিয়েছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানের ভাই আজিজ খান। গত ১৫ বছরে এই ক্ষমতার ঢাল ব্যবহার করে তিনি শুধুই তর তর করে ওপরে উঠেছেন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ, সরকারি কেনাকাটা, পণ্য ও সেবার সরবরাহ করে সবাইকে পেছনে ফেলে ধনী থেকে আরো ধনী হয়েছেন। বেসরকারি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের মালিক মুহাম্মদ আজিজ খানের পরিচিতি এখন শুধু বাংলাদেশের ধনী হিসেবেই নয়; বরং তিনি এখন সিঙ্গাপুরেরও অন্যতম সেরা ধনী ব্যক্তি।

মানবজমিন

২৭০ কোটি টাকা লোপাট

বিনামূল্যের পাঠ্য বই নিয়ে নানা অনিয়ম হয়েছে বিগত সরকারের সময়ে। বইয়ের মান, ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাপার সঙ্গে লুটপাট হয়েছে সরকারি অর্থ। বিপুল অর্থ লুটপাট হলেও সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া যায়নি বই। খোদ আওয়ামী লীগের শাসনামলের হওয়া অনুসন্ধানেই উঠে এসেছে ২৭০ কোটি টাকা লোপাটের তথ্য। এর বাইরেও ৯৪৫ কোটি টাকা বাজেটের বই থেকে প্রকাশনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোও করেছে অর্থের নয়-ছয়। ২৭০ কোটি টাকার দুর্র্নীতির তথ্য মেলার পর নিশ্চুপ ছিল প্রশাসন। কারও শাস্তি হয়নি। জবাবদিহিতা করতে হয়নি কাউকে। 

পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা যায়, পাঠ্য বই ছাপাতে মূলত পাঁচ খাতে দুর্নীতি করা হয়েছে। বইয়ের আকারে সুক্ষ্মভাবে ছোট করা হতো। যার কারণে সেখানে খরচ কমে আসতো। কাগজের উজ্জ্বলতার জন্য নির্দিষ্ট মান থেকে কমিয়ে আনা হতো। আর এই অপরাধকে একপ্রকার বৈধতা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ডা. দীপু মনি। পূর্বের বছরের পাঠ্য বই নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের ছাপানো বইয়ের কাগজের মান খারাপ নয়, রং কিছুটা ভিন্ন হলেও তা নিউজপ্রিন্ট নয়। ছাপানো কাগজ অনেক বেশি সাদা হলে তা চোখের জন্য তত ভালো নয়। আমাদের দেশে সবাই মনে করে বইয়ের কাগজ যত বেশি সাদা হবে তত বেশি ভালো কিন্তু তা নয়। আমাদের বইয়ের কাগজের উজ্জ্বলতা কিছুটা কম হলেও তা নিউজপ্রিন্ট নয়। 

আজকের পত্রিকা

শেয়ারবাজার থেকে উবে যাচ্ছে বিনিয়োগ, বাড়ছে ক্ষোভ

দীর্ঘদিনের অনিয়মের বলি দেশের পুঁজিবাজার। এখন এর খেসারত দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। লাগাতার দরপতনে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা তাঁরা। গত আড়াই মাসে ১৭ শতাংশ সূচক পতনের সঙ্গে পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। পুঁজি হারানোর এই মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক ও কর্তৃপক্ষের তরফে পর্যাপ্ত বা দৃশ্যমান উদ্যোগ না দেখে ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এ পরিস্থিতিতেও আশার কথা বলছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশ লম্বা সময় ধরে পুঁজিবাজার পতনমুখী রয়েছে। গত ১৫ বছরের মধ্যে বাজার এখন অবমূল্যায়িত। অন্যদিকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতি অনেকটা কমে এসেছে। সামগ্রিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। এসবের সঙ্গে পুঁজিবাজারও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। এই জায়গায় শেয়ার কেনার চাপ আসবে। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে।’ 

কালের কণ্ঠ

নথি-আলামত ধ্বংসে বিপাকে পুলিশ

‘থানায় রাখা সব নথিপত্র পুড়ে গেছে। এতে যে ক্ষতি হয়েছে তা আর পূরণ হওয়ার নয়। এখন আর আমাদের কাছে পুরনো কোনো মামলার আলামত নেই। ফলে আগের মামলার তদন্তকাজ অনেকটাই থেমে আছে।

আর লুট হওয়া অস্ত্রের বেশির ভাগ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। এ কারণে কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’

রাজধানীর ভাটারা থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম গতকাল রবিবার এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন। তিনি আরো বলেন, ‘এখনো আমাদের আতঙ্ক কাটেনি।

সমকাল

বিতর্ক ছিল ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের সঙ্গী

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম, ফটিকছড়ি ও ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তবু শেষ রক্ষা হয়নি, গতকাল রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে ছয়বারের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ এখন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও মিরসরাই আসনে ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেলকে এমপি বানান তিনি। ক্ষমতায় হোক বা ক্ষমতার বাইরে– সব সময় বিতর্ক ছিল তাঁর সঙ্গী।

অভিযোগ রয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালে উৎকোচ নিয়ে প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন, করেছেন বদলি ও ঠিকাদারি বাণিজ্য। গণপূর্তমন্ত্রী থাকাকালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), গণপূর্ত অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষসহ অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। জলাধারে আবাসন প্রকল্প করার সুযোগ দিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামিম ও রাজউকের ফাইল জালিয়াতির হোতা হিসেবে পরিচিত ‘গোল্ডেন মনির’ ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ। প্রভাব খাটিয়ে তিনি ছেলেকে পাইয়ে দেন বিভিন্ন ধরনের ঠিকাদারি কাজ। রাজধানীর পূর্বাচলে রয়েছে তাঁর কয়েকটি প্লট, সবই মন্ত্রী থাকাকালে নিয়েছেন তিনি। বেসামরিক বিমানমন্ত্রী থাকাকালে মিসর থেকে ভাড়ায় এয়ারক্রাফট আনার ঘটনায়ও অনিয়ম-লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

যুগান্তর

শূন্য থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক পলক

কারাবন্দি সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আইসিটি খাতে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। আইসিটি খাতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, নিয়োগ বাণিজ্য আর বিশেষ বরাদ্দ টি-আর, কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের নামে অর্থ লুটেছেন। ওই অর্থে নিজ এলাকা নাটোরের সিংড়ায় নামে-বেনামে গড়েছেন বিপুল সম্পত্তি। স্ত্রী, শ্যালকসহ স্বজনদের নামেও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। এছাড়া রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বাইরেও রয়েছে তার বিপুল সম্পদ। 

শুধু তাই নয়, একক ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দলের যোগ্য নেতাকর্মীদের পদবঞ্চিত করে অযোগ্য ব্যক্তি ও আত্মীয়স্বজন, এমনকি বিরোধী পক্ষকে দলে এনে বিতর্কেরও সৃষ্টি করেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

এছাড়া হাসনাত আব্দুল্লাহ / অপসারণে নীতিগতভাবে সবাই একমত; বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের প্রস্তাব পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট; সড়ক ধরে হাঁটতে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে পড়ল প্রাইভেটকার; ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ সাবেক মন্ত্রীসহ ২০ জনকে; লাভজনক দেখিয়ে অবাস্তব প্রকল্প; ৮ দফা দাবিতে আন্দোলনে সিকৃবি শিক্ষার্থীরা; বদলে যাচ্ছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম; সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার তথ্য চেয়েছে মন্ত্রণালয়—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *