সরকার পতনের পর থেকেই দেশজুড়ে যেমন বিজয় উল্লাস চলছে, তেমনি বিভিন্ন জায়গাতে সহিংসতা, অরাজকতার খবরও মিলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
সরকার পতনের পর থেকেই দেশজুড়ে যেমন বিজয় উল্লাস চলছে, তেমনি বিভিন্ন জায়গাতে সহিংসতা, অরাজকতার খবরও মিলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
এরই মধ্যে রাজশাহীতে স্টার সিনেপ্লেক্স ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে প্রেক্ষাগৃহ। এরপর ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে আমরা স্টার সিনেপ্লক্সের একটা শাখা চালু করেছিলাম। সেটি রাজশাহী শহর থেকে বেশ দূরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে অবস্থিত। ক্ষমতার পালাবদলের পর হাইটেক পার্কে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। তাদের মধ্যে থেকেই একদল সিনেপ্লেক্স ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
মেসবাহ মেজবাহ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের স্টার সিনেপ্লেক্সের অধিকাংশ শাখাই মার্কেটের ভেতরে অবস্থিত। তাই সেসব সুরক্ষিত রয়েছে। এটা হাইটেক পার্কের ভেতরে ছিল। হাইটেক পার্কে হামলার ফলে আমাদের সিনেপ্লেক্সে হামলা করা হয়েছে।’
এদিকে সিনেমা হলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস, অনন্য মামুন, আলোক হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।
দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হামলা ভাঙচুর চলছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সিনেমা হল ভাঙচুর করা হয়েছে, সিনেমা কার ক্ষতি করেছে? সিনেমা শুধু বিনোদন নয়, সিনেমা হলো সমাজের প্রতিচিত্র। সিনেমা হল ভাংচুর করার কোনো মানেই হয় না।’
নির্মাতা অনন্য মামুন বলেন, আমার দেশের চলচ্চিত্র যখন ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছে, ঠিক তখুনি এত বড় আঘাত। আজ সিনেপ্লেক্স আছে বলে চলচ্চিত্র দেখার জন্য নতুন দর্শক আসতে শুরু করেছে। আমরা বড় বাজেটের চলচ্চিত্র বানানোর স্বপ্ন দেখি। রাজশাহী হাইটেক পার্কে ৫ আগস্ট সারারাত লুটপাট হয়েছে, সিনেপ্লেক্স ভেঙ্গে চুরমার। ওয়াশরুমের কমোড, পানির ট্যাপটাকেও ছাড়েনি।
এনএইচ