লিওনেল মেসি দীর্ঘদিন ধরে স্পেনের বার্সেলোনায় ছিলেন। ক্লাব ফুটবলের তার বেশিরভাগ বড় বড় অর্জনই এসেছে কাতালানদের জার্সিতে। ফলে স্পেন ছিল তার দ্বিতীয় বাড়ির মতো। সেখানকার ইবিজায় তার একটি বাড়িও আছে। ‘ইবিজা ম্যানশন’ নামের সেই বাড়িতে সম্প্রতি হামলার ঘটনা ঘটে।
লিওনেল মেসি দীর্ঘদিন ধরে স্পেনের বার্সেলোনায় ছিলেন। ক্লাব ফুটবলের তার বেশিরভাগ বড় বড় অর্জনই এসেছে কাতালানদের জার্সিতে। ফলে স্পেন ছিল তার দ্বিতীয় বাড়ির মতো। সেখানকার ইবিজায় তার একটি বাড়িও আছে। ‘ইবিজা ম্যানশন’ নামের সেই বাড়িতে সম্প্রতি হামলার ঘটনা ঘটে।
মেসির বাড়িতে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের মিলেই। তার দাবি, স্পেনের কমিউনিস্টরা মেসির বাড়ি ধ্বংস করেছে। স্পেন সরকারের কাছে সে দেশে বসবাসরত আর্জেন্টাইন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছেন মিলেই।
তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘স্পেনে কমিউনিস্টরা জলবায়ু পরিবর্তনের অবসান ঘটাতে ধনীদের হত্যা করতে লিওনেল মেসি এবং তার বাড়ি ধ্বংস করে ফেলেছে। এই কাপুরুষোচিত কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি মেসির পরিবারের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আমি পেদ্রো সানচেজের সরকারের কাছে স্পেনে বসবাসরত আর্জেন্টাইন নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাচ্ছি। কমিউনিজম হচ্ছে সফলদের প্রতি হিংসা, ঘৃণা এবং বিরক্তি দ্বারা চালিত আদর্শ। মুক্ত এবং সভ্য পৃথিবীতে এর কোনো স্থান নেই।’
মেসির বাড়িতে হামলা করে একদল পরিবেশবাদী আন্দোলনকর্মী। মেসির ১১ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের বাড়িটি ‘পরিবেশ দূষণে সহায়ক’ বলে দাবি তুলেছেন তারা।
আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘ফিউচারো ভেজেটাল’ মেসির ইবিজা ভিলায় ভাংচুর চালায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হাফিংটন পোস্ট’। এমনকি সেই বাড়ির দেয়ালে লাল-কালো রঙে প্রতিবাদী স্লোগান লিখে দেয় তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে দেখা যায়, সংগঠনটির দুই সদস্য একটি ব্যানার নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘বিশ্বকে বাঁচান, ধনীদের প্রতিরোধ করুন এবং পুলিশ সরিয়ে নিন।’ তাদের মতে, সরকারের নীতিমালা জলবায়ুজনিত সঙ্কট বাড়িয়ে তুলছে।
পরিবেশ আন্দোলনকারীদের সংগঠনটি নিজেদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘আমরা মেসির অবৈধ ইবিজার বাড়িতে রঙ মাখিয়েছি। এই বাড়িটি অবৈধ উপায়ে নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে সাবেক এই বার্সা তারকা ১১ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন। ওই বাড়ি নির্মাণের সময়ও ২-৪ মানুষ নিহত হন এবং নির্মাণসংক্রান্ত কাজের কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে।’
‘পুরো জনসংখ্যার এক শতাংশ ধনী, যারা কার্বন নিঃসরণের দায়ী। এটি সম্ভব হয়েছে সরকারী কর্তৃপক্ষ ইকোনমিক-সোশ্যাল সিস্টেমের কথা বলে তাতে সমর্থন দিচ্ছে, যা যেকোনো প্রাণের জন্য হুমকিস্বরূপ। অথচ এই সঙ্কটের জন্য অভিবাসীদের দায় দেওয়া হচ্ছে এবং সহিংস আচরণের মুখে ফেলছে তাদের। আমরা সামাজিক এই অসমতা ও নিরাপদ এক বিশ্বের জন্য লড়াই করছি। চলুন এই সমস্যা সমূলে উৎপাটন করি, জলবায়ুর সঙ্কট মোকাবিলায় বড় পরিবর্তন প্রয়োজন।’
এইচজেএস