উপকূলের মানুষের জীবনপ্রবাহ কেমন, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘নোনা জলের কান্না’ শিরোনামের নাটক প্রদর্শনের মাধ্যমে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের এসিলাহা মিলনায়তনে বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘অ্যাকশন ফর ট্রান্সফরমেশন’ প্রকল্পের আয়োজনে নাটকটি প্রদর্শিত হয়।
উপকূলের মানুষের জীবনপ্রবাহ কেমন, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘নোনা জলের কান্না’ শিরোনামের নাটক প্রদর্শনের মাধ্যমে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের এসিলাহা মিলনায়তনে বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘অ্যাকশন ফর ট্রান্সফরমেশন’ প্রকল্পের আয়োজনে নাটকটি প্রদর্শিত হয়।
মূলত উপকূলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও জীবনপ্রবাহের টানাপোড়েনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বাস্তবধর্মী এ নাটকে। সেখানে সুপেয় পানির সংকট অত্যন্ত প্রকট। সব জায়গায় লবণ পানি। এ পানির ফলে উপকূলের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে এ নাটকের মাধ্যমে।
এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প আবাসন ও কর্মসংস্থান তৈরি, জেন্ডার সংবেদনশীল সরকারি সেবা নিশ্চিত করা এবং যে কোনো দুর্যোগ যেমন- ঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন রোধ করার উপায়সহ বিভিন্ন বিষয় সুচারুরূপে নাটকটির মাধ্যমে উপস্থাপন করেন এর শিল্পীরা। পাশাপাশি লবণাক্ততা দূরীকরণ ও সুপেয় পানি নিশ্চিত করার বিষয়টিও উঠে আসে নাকটির মাধ্যমে।
নাটকটির প্রদর্শন শেষে বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম মনজুরুল হাসান মিলনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার তড়িৎ চন্দ্র শীল, জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণবিষয়ক কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ রিয়াদুজ্জামান ও কৃষি প্রকৌশলী লুনা রানী মল্লিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও লবণাক্ততার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বাগেরহাট জেলা। এখানে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শেখ আবু তালেব/