পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান গ্রেপ্তার

পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসের ইনটেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান জেনারেল ফয়েজ হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবাসন সংক্রান্ত দুর্নীতির এক মামলায় জড়িত সন্দেহে তাকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসের ইনটেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান জেনারেল ফয়েজ হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবাসন সংক্রান্ত দুর্নীতির এক মামলায় জড়িত সন্দেহে তাকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানে গত ৭৭ বছরের মধ্যে ৩০ বছরের বেশি সময় দেশটিতে সেনাশাসন চলেছে বা সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করেছে। সেই পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কোনও কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের এই ঘটনা বেশ অস্বাভাবিক।

দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, অবসর গ্রহণের পর পাকিস্তান সেনা আইনের একাধিক লঙ্ঘন করেছেন হামিদ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‌‌‘‘ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে (অব.) সামরিক হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে বিবৃতিতে তার বিরুদ্ধে আনা সামরিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।

এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০১৯ সাল  থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ফয়েজ হামিদ।

২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা বাহিনীর আফগানিস্তান থেকে প্রস্থানের পর দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরপরই কাবুলের একটি হোটেলের লবিতে চা পান করার সময় বিশ্বজুড়ে আলোচনা হয় আইএসআইয়ের সাবেক এই প্রধানকে নিয়ে।

২০০১ সাল থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বাহিনী আফগানিস্তানে অবস্থানকালীন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তালেবানকে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করে আসছিল ওয়াশিংটন। পাকিস্তানে সাধারণত সেনাপ্রধানের পর দ্বিতীয় শক্তিশালী সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয় আইএসআই প্রধানকে।

ওই সময় হামিদকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও বিবেচনা করা হতো। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন হামিদকে আইএসআইয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। যদিও ২০২২ সালে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ইমরান খান দেশটির সামরিক বাহিনীকে তার ক্ষমতাচ্যুতির জন্য দায়ী করেন। তবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ইমরান খানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *