নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঁদাবাজি ও জবরদখলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঁদাবাজি ও জবরদখলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে বালিয়াপাড়া এলাকা থেকে আটকের পর তাকে আড়াইহাজার থানায় সোপর্দ করা হয়। আটক সাইফুল উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে।
বালিয়াপাড়া এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এবং পুলিশের পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ মাদক কারবারি সোহেল মিয়ার লোকজনের সহযোগিতায় বালিয়াপাড়া এলাকায় তাণ্ডব চালানো হয়। বালিয়াপাড়া বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী বাবুল মিয়ার দোকানে হামলা ও লুটপাট করা হয়। একই বাজারের এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন ও জাকির হোসেনের দোকানে হামলা চালিয়ে গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার লুট করা হয়।
এ ছাড়া ওই এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য আবু সিদ্দীক ভূঁইয়া, হাসান মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, রাজু মিয়া, হালিম হাসান, হুমায়ুন কবিরসহ আরও বেশ কয়েকজনের বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। তারা বালিয়াপাড়ার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিল। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদাও নিয়েছে। সেনা ক্যাম্পে ভুক্তভোগীরা তাদের ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে সাইফুল ইসলামকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে, তার ভাই সোহেল মিয়া যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, আটক সাইফুলের বিরুদ্ধে থানায় আগেও একাধিক মামলা ছিল। শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মেহেদী হাসান সৈকত