জগন্নাথের ২য় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত

জগন্নাথের ২য় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা, আবাসন সংকটের সমাধান, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বৃদ্ধিসহ স্বৈরাচারদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা, আবাসন সংকটের সমাধান, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বৃদ্ধিসহ স্বৈরাচারদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা।

রোববার (৩ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সমাধানে গঠিত কমিটির সঙ্গে ছাত্র সংগঠনের মতবিনিময় সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্রফ্রন্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার প্রতিনিধিসহ কমিটির শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সব ছাত্র সংগঠনের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

মতবিনিময় সভায় জবি ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, ১৬ বছর ধরে যাদের দ্বারা শিক্ষার্থীরা হয়রানি ও হামলার শিকার হয়েছে তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে— এমন প্রমাণিত হলে তাদের সনদ বাতিলেরও দাবি করছি।

শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আসাদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া, দলীয় ও রাজনৈতিক সুপারিশে শিক্ষক- কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধ করে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিতে হবে।

এ সময় তিনি যত্রতত্র অনলাইন ক্লাস বন্ধ করে মূল্যায়নের জন্য রেটিং ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ইভান তাহসিব বলেন, সেনাবাহিনীর হাতে কাজ তুলে দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। একই সঙ্গে প্রশাসন যেন সতর্ক থাকে ডিলটা কীভাবে হবে। এ ছাড়া, টিএসসি সংস্কারসহ এই জায়গাটা কীভাবে সংস্কার করা যায় তা দেখা দরকার।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধি নূর নবী বলেন, বারবার বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিন্তু বাস্তবায়ন হয় নাম। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে জকসু নির্বাচন, ক্যান্টিনে ভর্তুকি ও হলের বিষয় নিয়ে কোনো অগ্রগতি দেখিনি। স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকা হয়নি। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিরসন কমিটির আহ্বায়ক রইছউদ্দীন বলেন, আমাদের কোনো দল-মত নেই। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব। নতুন ক্যাম্পাসের জমি নিয়ে নাকি অনেকেই মিলিয়নিয়র হয়ে গেছে। আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই।

এমএল/এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *