অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন সংবিধান কার্যকর করবে : মাহফুজ আলম

অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন সংবিধান কার্যকর করবে : মাহফুজ আলম

অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন সংবিধান কার্যকর করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, কমিশনের প্রস্তাব পাওয়ার পর সেই প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে সুপারিশ কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর সেটা বর্তমান সরকারই কার্যকর করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন সংবিধান কার্যকর করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, কমিশনের প্রস্তাব পাওয়ার পর সেই প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে সরকার। তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে সুপারিশ কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর সেটা বর্তমান সরকারই কার্যকর করবে।

রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবিধান সংস্কার কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। 

মাহফুজ আলম বলেন, আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই। আর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত মানেই নতুন সংবিধান। সেটা কিন্তু এক দফার ঘোষণাতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে। এমনকি এক দফার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পুরোনো পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট সম্পূর্ণ বাতিল হয়েছে।

এসময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান প্রণয়নের সুযোগ নেই। জনআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে চাইলে নিঃসন্দেহে সংবিধানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি রাখতে হবে। গণঅভ্যুত্থান না হলে এই কমিশন হতো না। 

তিনি আরও বলেন, সংবিধানে থাকুক বা না থাকুক, নিঃসন্দেহে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন আছে। সেটা তো নিঃসন্দেহে ডকুমেন্টেড হতে হবে। এর বাইরে গিয়ে আমরা কিছুই করতে পারব না। আমি মনে করি, চব্বিশের গণমানুষের বিপ্লবকে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা শুধু জরুরিই নয়, অনিবার্যও বটে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক সংস্কারের ৭টি উদ্দেশ্যের কথা জানানো হয়। বলা হয়, দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতিশ্রুত উদ্দেশ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আলোকে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা; ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো; রাজনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বস্তরে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ছাড়াও ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোধ; রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ও ক্ষমতার ভারসাম্য; রাষ্ট্র ক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকেন্দ্রীকরণ ও পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন; রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক এবং আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।

টিআই/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *