কানাডা থেকে চুরি হওয়া চার্চিলের ছবি পাওয়া গেল ইতালিতে

কানাডা থেকে চুরি হওয়া চার্চিলের ছবি পাওয়া গেল ইতালিতে

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের একটি ছবি ইতালিতে পাওয়া গেছে। ১৯৪১ সালে তোলা এই ছবিটি কানাডার রাজধানী অটোয়ার একটি হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের একটি ছবি ইতালিতে পাওয়া গেছে। ১৯৪১ সালে তোলা এই ছবিটি কানাডার রাজধানী অটোয়ার একটি হোটেল থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল।

মূলত হোটেলটি থেকে উইনস্টন চার্চিলের এই ছবিটি চুরি হওয়ার পর সেখানে আরেকটি জাল ছবি রেখে দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেস্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৪১ সালে কানাডার পার্লামেন্টে যুদ্ধকালীন বক্তৃতা দেওয়ার পরপরই উইনস্টন চার্চিলের ‘দ্য রোয়ারিং লায়ন’ নামের এই ছবিটি তুলেছিলেন ইউসুফ কার্শ। বুধবার অটোয়া পুলিশ জানিয়েছে, ঐতিহাসিক এই প্রতিকৃতিটি ইতালির জেনোয়াতে একজন ক্রেতার ব্যক্তিগত সংগ্রহে পাওয়া গেছে। তবে তিনি জানতেন না যে, এটি চুরি করা হয়েছে।

এদিকে চার্চিলের ছবি চুরি এবং অবৈধ বিক্রয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্টারিওর পোওয়াসান থেকে একজনকে গ্রেপ্তারের কথাও ঘোষণা করেছেন কর্মকর্তারা। ৪৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি কানাডায় জালিয়াতি, চুরি, পাচার এবং সম্পত্তির ক্ষতিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।

বিবিসি বলছে, চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এর পরের দিন তাকে অটোয়ার আদালতে হাজির করা হয়।

মূলত এই ছবিটি ব্রিটেনের যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী চার্চিলের সবচেয়ে আইকনিক ছবিগুলোর মধ্যে একটি এবং এতে পার্লামেন্ট হিলে চার্চিলের মুখ থেকে সিগার বের করার পরের মুহূর্তগুলো দেখা যায়।

বিবিসি বলছে, ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট অটোয়ার শ্যাটো লরিয়ার হোটেলের একজন স্টাফ প্রথম লক্ষ্য করেন, মূল ছবিটি সরিয়ে সেখানে অন্য ছবি প্রতিস্থাপিত হয়েছে। হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার সেই সময় এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমরা এই নির্লজ্জ কাজের জন্য গভীরভাবে দুঃখিত।’

পুলিশের বিশ্বাস, ঐতিহাসিক এই ছবিটি ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারির মধ্যে কোভিড সংকান্ত কঠোর লকডাউনের মধ্যে চুরি হয়েছিল।

পুলিশ বলেছে, ছবিটি এখন পর্যন্ত তৈরি করা সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতিকৃতিগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি যুক্তরাজ্যে ৫ পাউন্ডের ব্যাংক নোটেও প্রদর্শিত হয়। তবে চুরির পর এই ছবিটি লন্ডনের একটি নিলাম সংস্থার মাধ্যমে ইতালির এক ক্রেতার কাছে বিক্রি হয়ে যায়।

পুলিশ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘দুজনের কেউই জানতেন না যে, এই ছবিটি চুরি হয়েছে।’

পরে জনসাধারণের দেওয়া তথ্য, ফরেনসিক বিশ্লেষণ এবং ‘ওপেন-সোর্স গবেষণা’ ব্যবহার করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে পুলিশ। এই মাসের শেষের দিকে কানাডিয়ান তদন্তকারীরা রোমে যাবেন এবং সেখানেই অজ্ঞাত ওই ক্রেতা আনুষ্ঠানিকভাবে আর্টওয়ার্কটি তাদের কাছে ফিরিয়ে দেবেন।

টিএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *