৫ দিনেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা নিয়েছেন ১৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী

৫ দিনেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা নিয়েছেন ১৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী

দেশে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) চলমান টিকা কার্যক্রম গত পাঁচ দিনেই ১৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন। গ্যাভি, ইউনিসেফ এবং ডাব্লিউএইচও’র সহায়তায় পরিচালিত এই টিকা কার্যক্রমে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং স্কুলের বাইরে থাকা ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীরা বিনামূল্যে পাচ্ছে।

দেশে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) চলমান টিকা কার্যক্রম গত পাঁচ দিনেই ১৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন। গ্যাভি, ইউনিসেফ এবং ডাব্লিউএইচও’র সহায়তায় পরিচালিত এই টিকা কার্যক্রমে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং স্কুলের বাইরে থাকা ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীরা বিনামূল্যে পাচ্ছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এসময় জানানো হয়, দেশের ৭টি বিভাগে ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ জন শিক্ষার্থীকে এইচপিভি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা সরকারের। এরমধ্যে স্কুল পর্যায়ে এই টিকা পাবে ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ৯১৮ জন, বাকিগুলো স্কুলের বাইরে থাকা শিশুদের দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এইচপিভি টিকা নেওয়ার লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৮ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৩২৬ জন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে টিকা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ। এসময় তিনি জানান, গত ২৪ অক্টোবর শুরু হওয়া এক ডোজের এ টিকার ক্যাম্পেইন চলবে ১৮ দিন। এই ক্যাম্পেইনে ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ কিশোরীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য আমাদের। এই মুহূর্তে সরকারের হাতে টিকার মজুত রয়েছে ৭৯ লাখ ৪৭৮ লাখ।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আমাদের অসংখ্য মায়ের মৃত্যু হয় ক্যান্সারে। পৃথিবীতে এসব ক্যান্সারের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের প্রকোপ অনেক বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর ৬ লাখ ৬০ হাজার নারী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, তাদের মধ্যে ৫০ ভাগই মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি লাখে ১৬ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, এরমধ্যে মারা যান ৫/৬ হাজারের মতো। দেশে মোট মৃত্যুর মধ্যে ক্যান্সারে মৃত্যু দ্বিতীয় স্থানে। আমাদের মতো দরিদ্র দেশগুলোতে প্রায় ৮০ শতাংশই রোগীর মৃত্যু হয়। তবে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা দিলে এতোসব আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসবে।

টিআই/এসএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *