শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়লেন দুই শিক্ষক

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়লেন দুই শিক্ষক

জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে প্রভাষক হোসাইন মাহমুদ ও সহকারী অধ্যাপক প্রার্থ সারথী দাস ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান তারা।

জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে প্রভাষক হোসাইন মাহমুদ ও সহকারী অধ্যাপক প্রার্থ সারথী দাস ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সন্বয়ক রিয়াদ হাসান জানান, কোটা আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা শিক্ষক-কর্মচারীদের উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে আসা নিষিদ্ধ ছিল। আজ সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক হোসাইন মাহমুদ ও ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রার্থ সারথী দাস ক্যাম্পাসে এলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। শিক্ষার্থীরা ওই দুই শিক্ষককে ক্যাম্পাস ছাড়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক প্রার্থ সারথী দাস ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেলেও প্রভাষক হোসাইন মাহমুদ থেকে যান। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তড়িঘড়ি করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন প্রভাষক হোসাইন মাহমুদ।

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ঝামেলা হতে পারে এজন্য আমরা সমাজকর্ম বিভাগের দেড়শ শিক্ষার্থী ক্লাস শেষে হোসাইন মাহমুদ স্যারকে নিয়ে চলে আসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক হোসাইন মাহমুদ বলেন, কোনো তোপের মুখে ক্যাম্পাস ত্যাগ করিনি। আমি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন, আমি তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলি। পরে আমার সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দিয়ে জামালপুর শহরে চলে আসি।

এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পরিবহন কমিটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানান প্রভাষক হোসাইন মাহমুদ।

এদিকে ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রার্থ সারথী দাসের সঙ্গে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *