দেশের আমলাতন্ত্র ও ব্যবসা খাত থেকে সকল আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের উৎখাতসহ ৫ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘বিপ্লবী ছাত্র জনতা’ ব্যানারে এ মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।
দেশের আমলাতন্ত্র ও ব্যবসা খাত থেকে সকল আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের উৎখাতসহ ৫ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘বিপ্লবী ছাত্র জনতা’ ব্যানারে এ মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সচিবালয় থেকে শিক্ষাঙ্গনে অধিষ্ঠিত সকল স্বৈরাচারের দোসরদের উৎখাতে ৫ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো :
১. আমলাতন্ত্র ও ব্যবসা খাত থেকে স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজদের উৎখাত হবে এবং অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
২. গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. যে সরকারি চাকরির জন্য কোটা সংস্কার হয়েছে সেই বাংলাদেশ কর্মকমিশন (পিএসসি) আগের অবস্থায় বহাল রয়েছে। সেই পিএসসিকে সংস্কার ও চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি দিতে হবে। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অব্যাহতি ও দুদক সংস্কার করতে হবে।
৪. দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়ে আনতে হবে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ করতে হবে।
৫. সেনাবাহিনীতে সংস্কারসহ, আওয়ামী ফ্যাসিস্টের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সেনাবাহিনীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের যে সিন্ডিকেট রয়েছে তা ভেঙে দিয়ে দালালদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রনি বলেন, আমরা যখন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনার পতন ঘটিয়েছি তখন কিন্তু আমরা কোন আইনের তোয়াক্কা করিনি। আজকে যারা ৫-১০ কোটি টাকার বিনিময়ে ডিসিদের নিয়োগ দিয়েছে, তাদেরকে কিন্তু ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের দুই মাস পেরিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে যেসব সিন্ডিকেট রয়েছে তারা এখনো সক্রিয় রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এখন পর্যন্ত কোনো এ ব্যাপারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। উপদেষ্টাদের বলতে চাই, যদি রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ হন; দায়িত্ব ছেড়ে দেন, জনগণের সঙ্গে তামাশা করবেন না। খুনি হাসিনার মতো চটকদার কথা আর শুনতে চাই না, আমরা দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, সচিবালয়ে আনসার প্রবেশ করিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা সেখানে ক্যু করতে গিয়েছিল। আমরা দেশে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলতে চাই না, আর আওয়ামী পুনর্বাসন করতে চাই না। আমরা যেভাবে সচিবালয়কে রক্ষা করতে গিয়েছিলাম, ঠিক একইভাবে দালাল স্বৈরাচারের দোসর মুক্ত করতে সচিবালয়ে গড়তে ফের সচিবালয়ে যাব।
কেএইচ/এসকেডি