দেশের ঘরোয়া ফুটবলে এখন নির্বাচনী আবহ। সেই আবহের মধ্যে আগামী শুক্রবার চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নতুন ফুটবল মৌসুম। এর এক সপ্তাহ পরেই শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগ। মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও এখনও ক্লাবগুলোর ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। তাই আগামীকাল (শনিবার) বিকেলে লিগ কমিটি ভেন্যু সংকট নিরসন ও ক্লাবগুলোকে ভেন্যু বন্টন করবে।
দেশের ঘরোয়া ফুটবলে এখন নির্বাচনী আবহ। সেই আবহের মধ্যে আগামী শুক্রবার চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে নতুন ফুটবল মৌসুম। এর এক সপ্তাহ পরেই শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগ। মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও এখনও ক্লাবগুলোর ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। তাই আগামীকাল (শনিবার) বিকেলে লিগ কমিটি ভেন্যু সংকট নিরসন ও ক্লাবগুলোকে ভেন্যু বন্টন করবে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এবার ১০টি দল। বাফুফে লিগ কমিটির পরিকল্পনা একটি স্টেডিয়াম দুটি ক্লাবের হোম থাকবে। সেই হিসেবে অন্তত পাঁচটি স্টেডিয়াম প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে বসুন্ধরা কিংস এবং ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়াম পেয়েছে। মুন্সিগঞ্জ এবং কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম লিগ আয়োজনের ব্যাপারে মৌখিক স্বীকৃতি থাকলেও আনুষ্ঠানিক কোনো পত্র নেই। বাফুফে এই দুটি স্টেডিয়াম পাওয়ার আশা করলেও দুশ্চিন্তায় মূলত পঞ্চম স্টেডিয়াম নিয়ে। গাজীপুর এবং মানিকগঞ্জের মধ্যে একটি স্টেডিয়াম পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর মধ্যে একমাত্র বসুন্ধরা কিংসেরই নিজস্ব স্টেডিয়াম রয়েছে। অন্য অনেক ক্লাবের স্টেডিয়াম তো দূরের কথা, অনুশীলন মাঠই নেই। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা এবার বসুন্ধরা কিংস এবং ফর্টিজ এফসি হোম হিসেবে ব্যবহার করবে। দুই জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী-মোহামেডান কুমিল্লাকে হোম ভেন্যু করতে চায়। যদিও এখনও কোনো আনুষ্ঠানিকতা হয়নি। এই প্রসঙ্গে মোহামেডানের ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব বলেন, ‘কিংস ছাড়া আর কোনো ক্লাবেরই মাঠ নেই। আমরা হোম ভেন্যু বা নিজস্ব ভেন্যুর কথা বলি, আদতে নিজস্ব কিছু নয়। স্টেডিয়ামের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, তত্ত্বাবধানে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। তারা আমাদের সদয় হয়ে ব্যবহার করতে না দিলে করার কিছু নেই। মাঠের এই বিষয়টি ফেডারেশনকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার কথা বলেছিলাম আগের সভায়।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় গত তিন মৌসুমে ফুটবল ঢাকার বাইরেই মূলত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০০৮ সালের পর থেকে জেলা পর্যায়ে ফুটবল ক্রীড়া সংস্থা থেকে বেরিয়ে ফুটবল এসোসিশেয়নের মাধ্যমে পরিচালনা করছে। যদিও স্টেডিয়াম জেলা ক্রীড়া সংস্থার। তাই বাফুফেকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গেই আলোচনা করে মাঠ ব্যবস্থা করতে হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সকল জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি বিলুপ্ত। নতুন করে এখনও গঠন হয়নি। ফলে জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গেই দেনদরবার করছে ফুটবল ফেডারেশন।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পর এক সময় সেরা ফুটবল ভেন্যু ছিল সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। গত দুই মৌসুম ধরে বাফুফে সেই ভেন্যু ব্যবহার করছে না। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ম্যাচ আয়োজনে ফ্লাডলাইট ও বিদ্যুৎ বিল মিলিয়ে সাত লাখ টাকা হয়েছিল। সিলেট জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাফুফের নির্বাহী সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম ব্যক্তিগতভাবে সেটি পরিশোধ করেছেন। গতকাল নির্বাহী সভায় আর্থিক বিষয়ের আলোচনার সময় সিলেটের বিদ্যুৎ বিলের সাত লাখ টাকার বিষয় উত্থাপন করেন সেলিম। বাফুফে এ মুহূর্তে ওই অর্থ পরিশোধের অবস্থায় নেই বিধায় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজ থেকেই দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন অথবা সেলিমকে ফুটবলের স্বার্থে অনুদান হিসেবে সেই টাকা না নেওয়ার আহ্বান জানান। সেলিম সভাপতির মতামত অনুসারে সাত লাখ টাকা অনুদান হিসেবেই সভায় ঘোষণা দেন।
এজেড/এএইচএস