ভর্তি হওয়া সেই ১৬০ শিক্ষার্থীর ক্লাস মূল ক্যাম্পাসেই

ভর্তি হওয়া সেই ১৬০ শিক্ষার্থীর ক্লাস মূল ক্যাম্পাসেই

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের পর সমাধান হলো মূল ক্যাম্পাসে (অন-ক্যাম্পাস) অনার্স প্রোগ্রাম চালু সংক্রান্ত জটিলতা। আগের বাতিল করা আদেশ বাতিল করায় অন ক্যাম্পাসে এখন যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের পর সমাধান হলো মূল ক্যাম্পাসে (অন-ক্যাম্পাস) অনার্স প্রোগ্রাম চালু সংক্রান্ত জটিলতা। আগের বাতিল করা আদেশ বাতিল করায় অন ক্যাম্পাসে এখন যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে অন-ক্যাম্পাসে ভর্তি ১৬০ শিক্ষার্থীর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে কোনো নির্দেশনা উল্লেখ না থাকায় শিক্ষা জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ১৬০ শিক্ষার্থীর ক্লাস মূল ক্যাম্পাসেই হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাসের ৪টি স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পছন্দ ও প্রাপ্যতা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে ভর্তি করাতে না পারায় ভর্তিকৃত হতাশাগ্রস্ত ১৬০ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন রক্ষাসহ সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে ভর্তিকৃতদের মূল ক্যাম্পাসেই পাঠদান করার বিষয়ে কমিশন হতে অনাপত্তি দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি ও পাঠদান করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি ও বিধি-বিধান প্রতিপালন করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

জানা যায়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্সে মেধার ভিত্তিতে ১৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। নতুন করে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে অনলাইনে আবেদন শেষ হলেও মেধা তালিকা প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

উল্লেখ্য, গত বছর ২০ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে এলএলবি, বিবিএ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালটি ম্যানেজমেন্ট এবং নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্স বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর তা বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয় ইউজিসি।

নির্দেশনায় অন-ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এরপর অন ক্যাম্পাস স্নাতক কোর্স বন্ধ রাখতেও বলা হয়। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনার আগ পর্যন্ত ভর্তিসহ এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের জন্য এরপর কয়েক দফায় নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয় ইউজিসি।

তখন ইউজিসি বলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বিধায় ইউজিসি এ নির্দেশ দিয়েছে। তবে এর পরদিনই ইউজিসির নির্দেশের জবাব দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছিল ইউজিসির পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের যেসব ধারা উল্লেখ করা হয়েছে, তা আংশিক ও খণ্ডিত।

এনএম/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *