বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে বিক্ষুব্ধদের দেওয়া আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবনে বিক্ষুব্ধদের দেওয়া আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু।
তিনি সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচবার নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং শিক্ষক ছিলেন।
ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে তার স্ত্রী নাজমা বেগম মরদেহ শনাক্ত করেন।
মরদেহ শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের বড় ভাই গাজী মঞ্জুরুল হোসেন বরুণ জানান, বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করার পরও লিটুকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মর্গে খুঁজতে গিয়ে মরদেহ পাই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পারিবারিক সিদ্ধান্তে দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজয় উল্লাস করতে গিয়ে দুর্বৃত্তরা সহিংসতা চালান। এ সময় তারা বরিশাল নগরীর কালীবাড়ি রোডে সাদিক আব্দুল্লাহর বাস ভবনে আগুন দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসার গেট ভেঙে হামলা শুরু করলে সাদিক আব্দুল্লাহ ছাদে উঠে দুই হাত জোড় করে সহিংসতা না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধরা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এ সময়ে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী, সন্তান ও স্ত্রীসহ আগুনে পুড়তে থাকা ঘরেই আটকা পরেন। পরবর্তীতে অন্যরা পালাতে পারলেও তিনজন আগুনে পুড়ে মারা যান। এরমধ্যে ওইদিনই মর্গে পরিচয় মেলে আওয়ামী লীগ নেতা মঈন জমাদ্দার ও নূর ইসলামের। আরেকটি মরদেহ পুড়ে বীভৎস হয়ে যাওয়ায় পরিচয় মিলছিল না। সর্বশেষ শুক্রবার সেই মরদেহ গাজী নঈমুল হোসেন লিটুর বলে শনাক্ত করেন তার স্ত্রী নাজমা বেগম।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএমকে