‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত ছাত্র-জনতার গৌরবময় অর্জনকে ধ্বংস করার জন্য এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসন্ত্রাস করে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে লুটতরাজ করছে। সেই সঙ্গে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে এ বিজয়কে ম্লান করার অপচেষ্টা করছে।’
‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত ছাত্র-জনতার গৌরবময় অর্জনকে ধ্বংস করার জন্য এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসন্ত্রাস করে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে লুটতরাজ করছে। সেই সঙ্গে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে এ বিজয়কে ম্লান করার অপচেষ্টা করছে।’
দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু এসব কথা বলেন।
দুর্বৃত্তদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সব পেশার মানুষকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা ছাড়া আমাদের ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত বিজয়কে রক্ষা করা কষ্টকর হবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন বলেন, রংপুর মহানগরীর যেখানেই নৈরাজ্য হবে সেই এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হিন্দুধর্মীয় নেতাদের নিয়ে মহানগরীর পরশুরাম থানা এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জানতে পারলাম কয়েকজন যুবক তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাদের নাম ঠিকানা নিয়ে জানা গেল, কেউ ডাব বিক্রি, কেউ আলু পটলের ব্যবসা করে। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করছি, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রংপুর মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, রংপুরের জেলা প্রশাসককে কল করে চাঁদা দাবি করা হয়। বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সেই ব্যক্তি ছাত্র বা কোনো দলের নেতাকর্মী নন। একইভাবে নগরীর এনআরবিসি ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের নম্বর চায় এক ব্যক্তি- বিষয়টি জানতে পেরে যুবদলের জেলা সভাপতিকে সেখানে পাঠানো হলে ওই যুবককে ডেকে দেখা যায় সে আদালতের মুহুরি। এভাবে কিছু দুবৃর্ত্ত এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কিছু কর্মী-সমর্থক বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম করছে। তারা শান্ত রংপুরকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে। এজন্য সকলকে সচেতন হবাব আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদসহ সহস্রাধিক শহীদকে স্মরণ করা হয়। একই সঙ্গে এই আন্দোলনে যে সকল বীর, ছাত্র-জনতা, শিশু, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ যে সকল মানুষ শহীদ হয়েছে তাদের রুহের মাগফেরাত কামনাসহ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। যারা অসুস্থ আছেন, আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য ডা. নিখিলেন্দু গুহ শংকর রায়, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন, সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন, সদস্য সচিব নুর হাসান সুমন, ওলামা দলের সদস্য সচিব হাফেজ নুরুল হক শাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর