বরগুনায় সুমাইয়া আক্তার ইতি (১৪) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতি বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী এ,কে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
গতকাল বরগুনা পৌরশহরের প্রেসক্লাব সংলগ্ন সদর রোড এলাকায় আমতলী এ কে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে ইতির সহপাঠীসহ বক্তারা বলেন, সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মো. আইয়ুব আলীর ছেলে মাইনুল হাসান টিটু তাকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। ২৬ অক্টোবর নিজ ঘর থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সুমাইয়া আক্তার ইতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে যে অবস্থায় তাকে পাওয়া গেছে তাতে কোনো ভাবে মনে হয় না ইতি আত্মহত্যা করেছে। ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ছাড়া হত্যার পূর্বে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।
সুমাইয়া আক্তার রাবেয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সহপাঠী ইতিকে ধর্ষণ করে হত্যার পরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এর কারণ কী? মেয়েরা এত অবহেলিত কেন? আমরা এ ঘটনায় অভিযুক্ত টিটুর বিচার চাই।
এ কে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইতি আমাদের স্কুলের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। অভিযুক্ত টিটু সবসময় তাকে উত্ত্যক্ত করত। এই টিটু ইতির ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে, পরে তাকে হত্যা করে ঘরের দোতালায় ঝুলিয়ে রাখেন। এটা যদি আত্মহত্যা হয় তাহলে কোনোভাবেই ভুক্তভোগীর পা মাটি অথবা পাটাতনে ঠেকানো থাকার কথা নয়। তবে তার পা পাটাতনে ঠেকানো থাকায় বোঝা যায় তাকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
মো. আব্দুল আলীম/এনএফ