ব্যালন ডি’অর নিয়ে রিয়ালের অভিযোগের জবাব ফ্রান্স ফুটবলের

ব্যালন ডি’অর নিয়ে রিয়ালের অভিযোগের জবাব ফ্রান্স ফুটবলের

মৌসুমের মাঝামাঝি থেকেই উন্মাদনা থাকে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম আকর্ষণীয় পুরস্কার ব্যালন ডি’অরকে কেন্দ্র করে। এবারও তেমনই ছিল, তবে তাতে লেগেছে বিতর্কের ছোঁয়া। কয়েক মাস ধরে গুঞ্জন থাকলেও ভিনিসিয়ুস ‍জুনিয়র পাননি ব্যালন ডি’অর, ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর সেই পুরস্কার ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ তারকা রদ্রিগো হার্নান্দেজ ছিনিয়ে নিয়েছেন। যা নিয়ে রিয়াল অসম্মানিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিল, সেই অভিযোগের জবাব এসেছে কর্তৃপক্ষ থেকে।

মৌসুমের মাঝামাঝি থেকেই উন্মাদনা থাকে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম আকর্ষণীয় পুরস্কার ব্যালন ডি’অরকে কেন্দ্র করে। এবারও তেমনই ছিল, তবে তাতে লেগেছে বিতর্কের ছোঁয়া। কয়েক মাস ধরে গুঞ্জন থাকলেও ভিনিসিয়ুস ‍জুনিয়র পাননি ব্যালন ডি’অর, ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর সেই পুরস্কার ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ তারকা রদ্রিগো হার্নান্দেজ ছিনিয়ে নিয়েছেন। যা নিয়ে রিয়াল অসম্মানিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিল, সেই অভিযোগের জবাব এসেছে কর্তৃপক্ষ থেকে।

এবার ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে ছিলেন রিয়ালের পাঁচজন ফুটবলার, যদিও তাদের একজন কিলিয়ান এমবাপে গত মৌসুমে খেলেছেন পিএসজির জার্সিতে। এর বাইরে ভিনির সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন জ্যুড বেলিংহ্যাম ও দানি কারভাহাল। রিয়ালের মতে– কারভাহালকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০ দেশের সাংবাদিকরা ভোট দেন ব্যালনজয়ী নির্ধারণে। তাদের ভোটেই প্রেস্টিজিয়াস এই পুরস্কার উঠেছে রদ্রির হাতে।

এর আগে রিয়াল ‘অসম্মানিত’ হয়েছে দাবি করে প্যারিসের জমকালো ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান বয়কট করে তারা। এএফপিকে রিয়াল জানায়, ‘পুরস্কার দেওয়ার যে মানদণ্ড, তার ওপর ভিত্তি করে বিজয়ী হিসেবে যদি ভিনিসিয়ুসকে বেছে না নেওয়া হয়, তাহলে একই মানদণ্ড বিচারে কারভাহালকে বিজয়ী হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ। যেহেতু এমন কিছু হয়নি, তাই এটা পরিষ্কার যে ব্যালন ডি’অর-উয়েফা রিয়াল মাদ্রিদকে সম্মান করে না। আর যেখানে সম্মান নেই, রিয়াল মাদ্রিদ সেখানে যায় না।’

এদিকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে লেকিপে টেলিভিশনকে রিয়ালের অভিযোগ নিয়ে কথা বলেছেন ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর এডিটর-ইন-চিফ ভিনসেন্ট গার্সিয়া। তিনি ভিনির পুরস্কার না পাওয়ার পেছনে একই ক্লাবের একাধিক সতীর্থের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে ভিনিসিয়ুস সম্ভবত শীর্ষ পাঁচে থাকা বেলিংহ্যাম ও কারভাহালের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাণিতিকভাবে তাদের কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে গেছে। কারণ জুরি বোর্ডে রিয়ালের ৩-৪ জন থেকে একজনকে ভোট দিতে হয়েছে, তাতে লাভবান হয়েছে রদ্রি।’

গার্সিয়া আরও বলেন, ‘আমি রিয়াল মাদ্রিদের জন্য বেশ চাপে ছিলাম, তেমনিভাবে অন্য ক্লাবেও এটা হয়ে থাকে। এসব ব্যাপারে আমি সবসময়ই স্পষ্ট, স্বচ্ছ ও নীরব থেকেছি। এমনটা সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আমি খুবই নিরানন্দের সঙ্গে অবাক হয়েছি তাদের (রিয়াল মাদ্রিদ) অনুপস্থিতির কথা জানতে পেরে।’

আগে থেকে বিষয়টা কেউ জানতে পারে না দাবি করে ফ্রান্স ফুটবলের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক ক্লাব ও খেলোয়াড়ের ব্যাপারে স্বচ্ছ। এই বছরও ব্যালন বিজয়ীদের আগে থেকে বিষয়টি জানানো হয়নি। আমার মতে সবশেষ যখন বিষয়টি সামনে আসে, তখন সবারই তা মেনে নেওয়া উচিৎ। কিন্তু আমি জানি না কেন তারা এই নিয়মটি বদলাতে চাচ্ছে। যখন রিয়াল মাদ্রিদ তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, আমি জানতাম না সেখানে এমন হতাশাজনক পরিস্থিতি ঘটছে।’

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *