আবাসনের নতুন রূপরেখা তৈরিতে গুরুত্বারোপ বিশেষজ্ঞদের

আবাসনের নতুন রূপরেখা তৈরিতে গুরুত্বারোপ বিশেষজ্ঞদের

বাংলাদেশে সবার জন্য বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, সুপরিকল্পিত এবং টেকসই নগর আবাসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে অংশীজনদের মতামত ও অভিমত বিনিময় হয়েছে।

বাংলাদেশে সবার জন্য বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়সংগত, সুপরিকল্পিত এবং টেকসই নগর আবাসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে অংশীজনদের মতামত ও অভিমত বিনিময় হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপি কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশের নগর এলাকার আবাসন পরিকল্পনার সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় এইচবিআরসির নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী আবু সাদেক বলেন, ঢাকা অঞ্চলে আমাদের পর্যাপ্ত পরিকল্পনা নেই। তাই আমাদেরকে সংস্কারের আগে টেকসই একটি রূপরেখা বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে।

তিনি বলেন, আবাসনের নতুন রূপরেখা তৈরিতে আমাদেরকে নগরীর জনঘনত্ব, সবুজায়ন ও উন্মুক্ত স্থান এবং পরিবহন ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে। তাছাড়া ন্যাশনাল হাউজিং পলিসিতে দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়াদি যুক্ত করার পাশাপাশি ড্যাপ , ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এবং স্ট্রাকচার প্ল্যানকে সংযুক্ত করতে হবে। জাতীয় আবাসন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিভাগীয় শহরের জন্যে তাদের অবকাঠামো ও নাগরিক সুবিধাদির উপর জোর দিয়ে আবাসন রূপরেখা তৈরি করতে হবে।

বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী মধুমিতা আক্তার বলেন, ঢাকার আবাসন ভবনগুলোর মিশ্র ব্যবহার শিশুসহ সবার সামাজিকীকরণে বাধা দিচ্ছে।

সিসিডিবি প্রধান মো. ফয়েজ উল্লাহ তালুকদার জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঢাকায় জনসংখ্যা বাড়ছে। তাই ঢাকার আশেপাশের এলাকাসমূহকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে। এতে শহরের চাপ কমবে।

ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারি বলেন, শহরে সবার জন্য সমান সুযোগ না থাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। কেননা সেই বাচ্চাগুলো জানে না তারাও বড় হয়ে সরকারের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভূমিকা রাখবে, তারাও চাইলে বড় মানুষ হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদা রওনক খান বলেন, সংস্কার মানে ভেঙে দেওয়া বা ফেলা দেওয়া; এই মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। বিভিন্ন প্রকল্পের ফ্ল্যাটবাবদ উচ্চ ডিপোজিট ও কিস্তির টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রধান বাধা।

প্রকৌশলী পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ নুরূল্লাহ বলেন, ভূমি জোনিং এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে করা হয়নি। আইন প্রয়োগের জন্য বিআইপি থেকে টাস্ক টিম গঠন জরুরি।

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান।

এএসএস/এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *