বিএনপির চাওয়া একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন : গয়েশ্বর চন্দ্র

বিএনপির চাওয়া একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন : গয়েশ্বর চন্দ্র

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের চাওয়া একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। এটা করার জন্য সেনাপ্রধান দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা আশা করছি, আপনারা এটা করতে পারবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমাদের চাওয়া একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। এটা করার জন্য সেনাপ্রধান দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা আশা করছি, আপনারা এটা করতে পারবেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমাদের চাওয়া একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর নির্বাচনের পথে উত্তরণের জন্য সেনাপ্রধান দায়িত্ব নিয়েছেন। আমি আশা করি, আপনি সেই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন। আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিনা শর্তে আপনাকে বিশ্বাস করেছি। তাই জনগণকে আশাহত করবেন না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও কোনো সরকার নাই। আমাদের সেনাবাহিনী দায়িত্ব নিয়েছেন। সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এখন একটি সরকার উপহার দিতে হবে। সরকারে কে আসবে না আসবে সেটা আমাদের বিষয় নয়। কারণ, একটি সরকার দরকার। সরকার ছাড়া দেশ চালানো সম্ভব নয়। সে কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা করতে হবে।

সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থাযী কমিটির এ সদস্য বলেন, যেহেতু আপনাদের মানুষ বিশ্বাস করে, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন জনগণের ভোটের অধিকার দিতে হবে। কে প্রধান উপদেষ্টা হবে—সেটা নিয়েও আমাদের মাথা ব্যাথা নাই। আমাদের মাথা ব্যাথা একটাই, নির্বাচন দিতে হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যেমে একটি সরকার গঠন করতে হবে।

বিএনপির স্লোগান নিয়ে তৃতীয় পক্ষ বিভিন্ন জায়গায় হামলা করছে বলে অভিয়োগ করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চলে গেছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মা রয়ে গেছে। ষড়যন্ত্র এখনও রয়ে গেছে। চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বিএনপির এ জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের নেত্রীকে ফিরে পেয়েছি। তাকে আজ আমরা মুক্ত দেখতে পাচ্ছি,  আপনাদের অবদানে।

এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আপনারা সবাই তো খারাপ কাজ করেন নাই। আপনারা কেন ভয় পান। যারা খারাপ কাজ করেছে তারা ভয় পেতে পারে। তাদের বিচার করতে হবে। প্রশাসনের যারা অপরাধ করেন নাই, তারা জনগণের সঙ্গে থাকেন।

বিকেল পৌনে ৩টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের অস্থায়ী মঞ্চে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।

সমাবেশ শুরুর পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এএইচআর/এনআই/এসএম

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *