ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংঘটিত মব জাস্টিস ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পাহাড়ে সংঘটিত অরাজকতারও সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংঘটিত মব জাস্টিস ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পাহাড়ে সংঘটিত অরাজকতারও সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাহাড়ে সংঘটিত সহিংসতায় আমরা মর্মাহত। এসব ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হতে হবে। স্বৈরাচার হটিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমরা রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার সেই স্বাধীনতা আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দেব না।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান সজীব বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে এমন কেউ কি ছিল না যে এটার প্রতিবাদ করবে? হল প্রোভোস্ট কোথায় ছিলেন? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এ হত্যার দায় এড়াতে পারে না। আমরা পাহাড়ে সংঘটিত সহিংসতারও বিচার দাবি করছি।
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নওশিন বলেন, যারা হত্যা করেছে আমরা শুধু তাদের বিচার চাই না, যারা এই হত্যাকাণ্ড বসে বসে দেখেছে, ভিডিও করেছে কিন্তু প্রতিবাদ করেনি, তাদেরও বিচার করতে হবে। পাহাড়ের ঘটনারও আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই। এসব ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি ষড়যন্ত্র তা বের করতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ঢাবির তোফাজ্জেল হত্যার সাথে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে এটা তাদের নতুন ষড়যন্ত্র। আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের মতো তোফাজ্জল ভাইয়ের হত্যাকারীদেরও বিচার করতে হবে। দেশে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করা চলবে না।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ দিন দুপুরে একই দাবিতে মানববন্ধন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’।
এমএল/কেএ