এক জালেই ধরা পড়ল ১০২ মণ ইলিশ

এক জালেই ধরা পড়ল ১০২ মণ ইলিশ

সমুদ্র থেকে ১০২ মণ ইলিশ নিয়ে আলীপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি মাছ ধরার ট্রলার। এ পরিমাণ ইলিশ দেখতে ট্রলারের কাছে ভিড় জমান বন্দরের লোকজন। এতে খুশি জেলে ও ট্রলার মালিক কর্তৃপক্ষরা।

সমুদ্র থেকে ১০২ মণ ইলিশ নিয়ে আলীপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি মাছ ধরার ট্রলার। এ পরিমাণ ইলিশ দেখতে ট্রলারের কাছে ভিড় জমান বন্দরের লোকজন। এতে খুশি জেলে ও ট্রলার মালিক কর্তৃপক্ষরা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স কামাল ফিস নামের একটি মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য নেওয়া হয়। মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় ১৯ লাখ ২০ হাজার ৩০০ টাকায়। মাছগুলো মূলত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ৯৫ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফ.বি. নাহিদা আক্তার নামের ট্রলারটি গত ১৬ সেপ্টেম্বর আলীপুর ঘাট থেকে সমুদ্রে যায়। তিন দিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত মাছ পাননি জেলেরা। বৃহস্পতিবার জাল ফেলে ১০২ মণ মাছ পান তারা। মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে তিনটি সাইজে আলাদা করা হয়। তবে, মাছের সাইজ তুলনা ছোট হওয়ায় দাম কম পাওয়া গেছে।

মেসার্স কামাল ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, বিক্রির জন্য আনা মাছগুলো তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছ প্রতি মণ ২৫ হাজার টাকা, ৪০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ মাছ ২০ হাজার টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি মণ মাছ ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ তিন লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৯ লাখ ২০ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। 

ট্রলারটির মালিক আব্দুল মন্নান ব্যাপারী বলেন, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। একদিকে যেমন সাগরে মাছ কম, অন্যদিকে আবহাওয়া খারাপ থাকায় ঠিকমতো সমুদ্রে নামতে পারছিল না জেলেরা। সে জন্য অনেক দিন ধরে আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছিল। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব। 

এসএম আলমাস/কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *