অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও গেটের সামনে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। এর ফলে ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কের পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনের সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও গেটের সামনে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন তারা। এর ফলে ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কের পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনের সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্দোলন শুরু করেন তারা।
আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মোহাম্মদ নিয়ামুল হক এবং উপাধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেন। যখন তখন অভিভাবকদেরকে ডেকে অপমান অপদস্থ করেন। বিভিন্ন কোচিং ক্লাসের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। আবার এসব বিষয়ে কথা বললেই শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে দেন। একইসঙ্গে পরবর্তী সময়ে শাস্তির মুখোমুখি করার হুমকিও দিয়েছেন। তাই এই দুজনের পদত্যাগের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এদের পদত্যাগ নিশ্চিত করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। আমরা এর আগে ক্লাস-পরীক্ষা কিংবা কোনো ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেব না।
সিফাত আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, তারা যদি অপরাধী না হয় তাহলে আজ দুইদিন ধরে কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে কেন? আগামীকালও কলেজ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের ভিত্তি দুর্বল দেখেই এমন কার্যক্রম করছেন। তবে এই শিক্ষার্থীরা একতাবদ্ধ। তাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত কেউ ক্লাসে ফিরবে না।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে এক নোটিশে সিটি কলেজের এক শিক্ষককে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে দুই দিনের জন্য কলেজের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। নোটিশে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কলেজ পরিচালনা পর্ষদ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ছাত্রদেরকে গালিগালাজ করার কারণে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
২. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সুমনের বহিষ্কারের কারণ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে অতিদ্রুত তাকে কর্মে যোগদান করানো হবে।
৩. ইতঃপূর্বে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রিটেক বাবদ যেসব ফি নেওয়া হয়েছে তা ফেরত দেওয়া হবে। বিশেষ ক্লাস বা কোচিংয়ের জন্য কোনো ফি নেওয়া হবে না।
৪. আন্দোলনকারী কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।
৫. পিকনিকের ব্যাপারে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৬. কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবককে হয়রানি বা অপমান করা হবে না।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন বন্ধ করে কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আবেগ এবং অনুভূতিকে সবসময়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আরএইচটি/জেডএস