সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা

সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা

সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজি সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন। এতে দূরপাল্লার বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রী ও জরুরি কাজে যাতায়াতকারী ব্যক্তিরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজি সেতুতে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন। এতে দূরপাল্লার বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রী ও জরুরি কাজে যাতায়াতকারী ব্যক্তিরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছে সুনামগঞ্জ পরিবহন মালিক সংগঠন ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। তাই সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডে শত শত বাস দাঁড়িয়ে আছে। বাসের ড্রাইভার-হেলপাররা কেউ কেউ বসে গল্প করছেন কেউ চায়ের দোকানে আড্ডায় মজেছেন। আজকে হেলপারদের কোনো কোলাহল নেই। দেখে মনে হচ্ছে অনেকটা স্থবির হয়ে আছে সবকিছু। রাস্তায় অনেক যাত্রী থাকলেও তারা জানেন না কী কারণে ধর্মঘট চলছে। এর ফলে সিলেটে যাওয়া যাত্রীরা পরেছেন চরম ভোগান্তিতে।

সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটগামী যাত্রী রবিউল আলম বলেন, আমার পরিবার সিলেটে চিকিৎসাধীন আছে। আমি আজ সিলেটে যাবো বলে বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি, কোনো যানবাহন চলছে না। আমার পরিবারের সদস্যরাও সিলেট থেকে আসতে পারছে না। আমরা ভীষণ বিপাকে পড়েছি।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শাহী রহমান বলেন, ভার্সিটিতে জরুরি পরীক্ষা আজ। এই ধর্মঘট আমার পরীক্ষার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। বোনের বিয়েতে এসে ফেসে গেলাম।

একইভাবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ভর্তির শেষ দিনে সুনামগঞ্জ থেকে শিক্ষার্থী আব্দুল মুমিন ও মুনতাহা গাড়ি না পাওয়ায় তার ভর্তির সুযোগ হারানোর আশঙ্কা করছেন।

সুনামগঞ্জ পরিবহন মালিক সংগঠন ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানিয়েছেন, লামাকাজি সেতুতে টোল আদায়ের টেন্ডার বাতিলের দাবিতে এই কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। নেতারা বলেন, সেতুটিতে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে টোল আদায় করা হলেও সম্প্রতি টোল আদায় বন্ধ হয়েছিল। তবে আবারও টোল আদায়ের নতুন টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে, যা বাতিল না হলে কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে।

সুনামগঞ্জ বাস মিনিবাস সমিতির সভাপতি জুয়েল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। তবে জরুরি পরিষেবা হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স ও বিদেশি যাত্রীবাহী যান চলাচলে কিছুটা শিথিলতা রাখা হয়েছে।

তামিম রায়হান/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *