তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণিঝড় দানা। তীব্র ঘূর্ণিঝড় হলেও ঘূর্ণিঝড় দানা ভারতের ওপর দিয়েই উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া ঘূর্ণিঝড় দানা। তীব্র ঘূর্ণিঝড় হলেও ঘূর্ণিঝড় দানা ভারতের ওপর দিয়েই উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
সংস্থাটি জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ঘূর্ণিঝড় দানাতে রূপ নিয়েছে। এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে তথা সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্ট্রোম হিসেবে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা সীমান্ত দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে এবং পরে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বাক নিয়ে স্থলভাগের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ভারতের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬০ শতাংশ। এক্ষেত্রে খুলনা বিভাগ ও বরিশালের দু’এক জায়গা ছাড়া বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা কম।
বিডব্লিউওটি আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ সীমান্তের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া এটি স্থলভাগে আঘাত নাও করতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে এসে আবার দক্ষিণ পশ্চিমে বাঁক নিয়ে সাগরেই নিঃশেষ হয়ে যেতে পারার সম্ভাবনা ১০ শতাংশ।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।
এসআর/এসএসএইচ