করোনা নিয়েই জিতলেন ব্রোঞ্জ, পরে অলিম্পিক শেষ লাইলসের

করোনা নিয়েই জিতলেন ব্রোঞ্জ, পরে অলিম্পিক শেষ লাইলসের

ছেলেদের ১০০ মিটারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে স্বর্ণ জিতেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নোয়াহ লাইলস। এরপর তিনি আরও দুটি পদকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। একটি দলগত ৪*১০০ মিটার রিলে আর অন্যটি ব্যক্তিগত ২০০ মিটারের স্প্রিন্ট। তবে ২০০ মিটারে তিনি করোনাক্রান্ত হয়েও নামলেন। এরপর জিতলেন ব্রোঞ্জও, তবে এর মধ্য দিয়েই শেষ যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততম এই তারকার প্যারিস অলিম্পিক।

ছেলেদের ১০০ মিটারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে স্বর্ণ জিতেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নোয়াহ লাইলস। এরপর তিনি আরও দুটি পদকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। একটি দলগত ৪*১০০ মিটার রিলে আর অন্যটি ব্যক্তিগত ২০০ মিটারের স্প্রিন্ট। তবে ২০০ মিটারে তিনি করোনাক্রান্ত হয়েও নামলেন। এরপর জিতলেন ব্রোঞ্জও, তবে এর মধ্য দিয়েই শেষ যুক্তরাষ্ট্রের দ্রুততম এই তারকার প্যারিস অলিম্পিক।

২০০ মিটারের লড়াইয়ে ১৯.৭০ সেকেন্ড নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন লাইলস, এরপরই জানান নিজের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার কথা। পরে তাকে হুইল চেয়ারে করে ট্র্যাকের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার সময়ও মুখে মাস্ক পরিহিত দেখা যায় লাইলসকে। করোনায় পজিটিভ হওয়ার কথা জানতে পারলেও নিজেকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবেননি। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ট্র্যাকে নেমে জিতলেন ব্রোঞ্জ।

এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছেন বোতসোয়ানার লেতসিলে তেবেগো। তিনি সময় নিয়েছেন ১৯.৪৬ সেকেন্ড। এ ছাড়া রৌপ্য জিতেছেন লাইলসেরই স্বদেশি সতীর্থ কেনেথ বেন্ডনারেক, তার সময় লেগেছে ১৯.৬২ সেকেন্ড।

পরবর্তীতে ২৭ বছর বয়সী লাইলস জানান, ‘আমার কোভিড হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে আমি পজিটিভ রিপোর্ট পাই। এর আগে ঘুম থেকে উঠে খুব খারাপ লাগছিল। বুঝতে পারছিলাম এটা ১০০ মিটারে দৌড়ানোর ফল নয়। চিকিৎসকদের ঘুম থেকে তুলে পরীক্ষা করানোর পর দুর্ভাগ্যজনকভাবে জানা যায় আমি কোভিড পজিটিভ। অসুস্থতা অবশ্যই আমার পারফরম্যান্সকে প্রভাবিত করেছে। তবে সত্যি বলতে কোভিড নিয়েও ব্রোঞ্জ জেতায় নিজেকে নিয়ে আমি আরও বেশি গর্বিত।’

তবে বিষয়টি বাকি সতীর্থদের কাছেও গোপন রেখেছিলেন লাইলস। ইউএস তারকা জানিয়েছেন, ‘আমরা ব্যাপারটা গোপন রাখার চেষ্টা করেছি। মেডিকেল স্টাফ, আমার কোচ, মা এবং আমার পরিবার জানত। সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ুক সেটা আমরা চাইনি। আপনি অসুস্থ সেটা নিশ্চয়ই আপনার প্রতিদ্বন্দ্বীদেরও বুঝতে দিতে চান না। কেন নিজের থেকে তাদের একটু এগিয়ে থাকার সুযোগটা দেবেন?’

লাইলসের ট্রেবল স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন প্যারিস অলিম্পিকে। যদিও ১০০ মিটারের স্বর্ণ ধরে রাখা যায়নি ২০০ মিটারে। এ ছাড়া ৪*১০০ মিটারে রিলেতেও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল এই স্প্রিন্টারের। ইতোমধ্যে তার দল ফাইনাল রাউন্ডেও উঠেছে। কিন্তু তার আর সেখানে খেলা হচ্ছে না। এ নিয়ে পরে ইনস্টাগ্রামে করা পোস্টে লাইলস লিখেছেন, ‘২০২৪ অলিম্পিকে আমার যাত্রা এখানেই শেষ। যেমন অলিম্পিকের স্বপ্ন আমি দেখেছি, এটা তেমন ছিল না, তবে অনেক আনন্দ পেয়েছি।’

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *