সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ছাত্র-জনতার বিজয়কে ম্লান করে দিয়েছে

সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ছাত্র-জনতার বিজয়কে ম্লান করে দিয়েছে

গত কয়েকদিনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণ, তাদের উপাসনালয় ভাঙচুর, জমি-জিরাত-বাসাবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, রাজনৈতিক দলগুলোর অফিস ভাঙচুর-দখল, আন্দোলন চলাকালীন সময়ের মতো প্রায় সমপরিমাণ-মানুষের মৃত্যু, পুলিশ হত্যা, থানা লুট ও অগ্নিসংযোগ, কারাগার ভেঙে বন্দিদের পলায়নসহ ঘটনাবলি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের চিত্রকেই ম্লান করে দিয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

গত কয়েকদিনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণ, তাদের উপাসনালয় ভাঙচুর, জমি-জিরাত-বাসাবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, রাজনৈতিক দলগুলোর অফিস ভাঙচুর-দখল, আন্দোলন চলাকালীন সময়ের মতো প্রায় সমপরিমাণ-মানুষের মৃত্যু, পুলিশ হত্যা, থানা লুট ও অগ্নিসংযোগ, কারাগার ভেঙে বন্দিদের পলায়নসহ ঘটনাবলি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের চিত্রকেই ম্লান করে দিয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় নেতারা এমন মন্তব্য করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেছেন, বিগত সরকারের শাসন অবসানের পর দেশের যে নৈরাজ্য ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে এই সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে তার অবসান ঘটবে বলে দেশবাসী আশা করে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক স্থাপনাগুলো যথা বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামে অগ্নিসংযোগ, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরালের ধ্বংস সাধন, মুজিবনগরের স্মৃতিসৌধে ধ্বংস সাধন, বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য বিনষ্ট করা, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার দিককেই নির্দেশ করে এবং অতীতের পুনরাবৃত্তির কথাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।

সভায় বলা হয়, এসব কার্যক্রম ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের ঘোষিত চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় আশা প্রকাশ করা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার এসব ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মূল প্রতিশ্রুতি পালনে তার প্রতিশ্রুত ভূমিকা রাখবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় আশা প্রকাশ করা হয়, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক, বহুত্ববাদী সমাজ গঠন, বিশেষ করে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমাজে দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার, বাজার সিন্ডিকেটের অনাচার রোধ করতে আন্দোলনকালীন সময়ের মতোই দৃঢ় ভূমিকা রাখবে।

এমএসআই/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *