ইউর্গেন ক্লপ পারেননি। পারেননি বব পেইসলি, বিল শ্যাঙ্কলি, স্যার কেনি ডালগ্লিশ কিংবা জেরার্ড হুলিয়েরদের মতো কোচেরাও। লিভারপুলের দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে গিয়েই জয়ের স্বাদ পেয়েছেন এমন তালিকা খুবই ছোট। শেষ ১৯৩৬ সালে জর্জ কী অলরেডদের দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবার ইউনাইটেডের মাঠে গিয়ে জয় পেয়েছিলেন।
ইউর্গেন ক্লপ পারেননি। পারেননি বব পেইসলি, বিল শ্যাঙ্কলি, স্যার কেনি ডালগ্লিশ কিংবা জেরার্ড হুলিয়েরদের মতো কোচেরাও। লিভারপুলের দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে গিয়েই জয়ের স্বাদ পেয়েছেন এমন তালিকা খুবই ছোট। শেষ ১৯৩৬ সালে জর্জ কী অলরেডদের দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবার ইউনাইটেডের মাঠে গিয়ে জয় পেয়েছিলেন।
গতকাল সেই কীর্তিতে নাম লেখালেন আর্নে স্লট। অলরেডদের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই উপহার দিচ্ছেন দুর্দান্ত ফুটবল। শনিবার লিগের তৃতীয় ম্যাচে প্রথমবারের মতো হাজির হলেন রেড ডেভিলদের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে। তাতেই পেলেন ৩-০ গোলের জয়। দুর্দান্ত ফুটবলে ম্যান ইউনাইটেডকে রীতিমত বিধ্বস্ত করেছে লিভারপুল।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচের বয়স কেবল ৭ মিনিট। লিভারপুলকে তখনই লিড এনে দেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার আর্নল্ড। দারুণ এক আক্রমণ থেকে আরও অসাধারণ ফিনিশ এই রাইটব্যাকের। গোল করে সেটা উদযাপন করেছিলেন কিংবদন্তি স্টিভেন জেরার্ডের মতো করেই। কিন্তু পরে দেখা গেল গোলটাই বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণে।
তবে ততক্ষণে একটা বার্তা ওল্ড ট্রাফোর্ডকে দিয়ে ফেলে লিভারপুল। এই ম্যাচটা তারা এসেছে জয় করতে। আর্নে স্লট দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই মোহাম্মদ সালাহ আছেন উড়ন্ত ফর্মে। অপরপাশে লুইস দিয়াজও পেয়েছেন পুরাতন ছন্দ। গতকাল এই দুজনেই করলেন রেড ডেভিলদের সর্বনাশ।
এছাড়া অবশ্য আরও একজনের অবদান আছে ইউনাইটেডের ভরাডুবির জন্য। দলের নির্ভরযোগ্য তারকা ক্যাসেমিরো। ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই তারকা প্রথমার্ধে দুবার বল পায়ে হোঁচট খেয়েছেন। সেই দুবারই গোল হজম করেছে ইউনাইটেড। কাকতালীয়ভাবে দুবারই অ্যাসিস্ট করেছেন সালাহ এবং গোলদাতা লুইস দিয়াজ।
৩৫ মিনিটের গোলটা আসে ডান পাশ থেকে সালাহর বাড়ানো নিখুঁত এক ক্রসে। ডোমিনিক সবোস্লাইও লাফিয়ে উঠেছিলেন। তবে মাপা ক্রসটা খুঁজে নেয় দিয়াজকে। লিড পায় লিভারপুল। ৭ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। সালাহর পাস থেকে এবারের গোলটা ডান পায়ে করেছেন দিয়াজ।
সালাহ লিভারপুলকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন ৫৬ মিনিটে। কোবি মাইনুর কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে সবোস্লাই গোলটা সাজিয়ে দিয়েছিলেন সালাহর জন্য। মিশরীয় তারকার জন্য গোল করাটা ছিল সহজাত। ইউনাইটেডের ঘরের মাঠে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৯ ম্যাচে সালাহর গোল ১০টি। প্রিমিয়ার লিগ যুগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়ে অন্য কোনো খেলোয়াড়ের গোলসংখ্যা দুই অঙ্ক ছোঁয়নি। এই সময়ে ইংল্যান্ডে প্রতিপক্ষের মাঠে এ ছাড়া ১০ গোল আছে কেবল কিংবদন্তি অ্যালান শিয়েরারের।
৩ গোলে জিতে নতুন কোচ আর্নে স্লটকে টানা তৃতীয় জয় উপহার দিলেও সালাহ-দিয়াজরা আপাতত আছেন পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। সমান পয়েন্ট আছে লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টার সিটির। তবে সিটি (৯) এগিয়ে লিভারপুলের (৭) চেয়ে গোল বেশি করার সুবাদে।
জেএ