২০১১ সালে প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরীর ছেলে কাশেম চৌধুরীর গাড়ির ধাক্কায় আহত হন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন সাকিন। দুর্ঘটনার পর শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় জামিলুর রেজা চৌধুরী তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ১৩ বছর পরও আশানুরূপ ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
২০১১ সালে প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরীর ছেলে কাশেম চৌধুরীর গাড়ির ধাক্কায় আহত হন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেন সাকিন। দুর্ঘটনার পর শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় জামিলুর রেজা চৌধুরী তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ১৩ বছর পরও আশানুরূপ ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি পূর্ণ ক্ষতিপূরণ, কাশেম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, চিকিৎসাসহ তার পরিপূর্ণ পুনর্বাসন এবং সড়কের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী সাকিন বলেন, ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল আমি ফুটপাত ধরে হাঁটছিলাম। এ সময় কাশেম চৌধুরীর বেপরোয়া গাড়ি আমার শরীরে আঘাত করলে আমি ফুটপাতে আছড়ে পড়ি। গাড়ি টেনে নিয়ে আমাকে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে আমি শারীরিকভাবে অক্ষম হয়। আঘাতের কারণে আমার বামপাশ অচল হয়ে গেছে। আমি ঠিকমতো হাঁটতে পারি না। মাঝেমধ্যে আমার সমস্ত শরীর কাঁপুনি দেয়।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর জামিলুর রেজা আমার চিকিৎসার ব্যয় বহনের আশ্বাস দেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি তিনি বাস্তবায়ন করেননি। তিনি আমাকে কয়েকদিনের হাসপাতালের বিল দিয়েছেন এবং একটি ব্যায়ামের সাইকেল দিয়েছেন কেবল।
ন্যায়বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ঘটনার ১৩ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আজও আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার মতো আরও অনেকে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়েছেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই।
কেএইচ/এমজে