ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সফর শুরুর বেশ আগে থেকেই দেশটির বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে হামলার হুমকি। এমনকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সিরিজ স্থগিতের দাবি না মানায় খেলা বয়কটেরও ডাক দেয় বেশ কয়েকটি সংগঠন। এমন পরিস্থিতিতে দুই দলের আসন্ন দ্বিতীয় টেস্টকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে।
ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সফর শুরুর বেশ আগে থেকেই দেশটির বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে হামলার হুমকি। এমনকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সিরিজ স্থগিতের দাবি না মানায় খেলা বয়কটেরও ডাক দেয় বেশ কয়েকটি সংগঠন। এমন পরিস্থিতিতে দুই দলের আসন্ন দ্বিতীয় টেস্টকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। সেজন্য ভেন্যুটিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশ পুলিশের এসিপি হরিশ চন্দ্র। তিনি বলেছেন, গতকাল (সোমবার) অখিলেশ ভারতীয় হিন্দু মহাসভার ২০ সদস্যের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগে স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেছে সংগঠনটি।
পরবর্তীতে ওই এলাকায় ‘ফুল-প্রুফ’ (অব্যর্থ) নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। বাংলাদেশ এবং ভারতীয় ক্রিকেট দল আজ রাতেই শহরটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই ম্যাচের জন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইকে হরিশ চন্দ্র বলেন, ‘আমরা পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে রেখেছি, যাতে একটি পাথরও বাদ না যায়। প্রয়োজন অনুসারে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যও মোতায়েন করা হবে।’
পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, পুলিশ ফেডারেল ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। যেখানে তথ্য বিনিময়ে রয়েছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) ও রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাও। যেকোনো সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলা ও সেসব চিহ্নিত করতে কাজ করছে তারা। উত্তর প্রদেশ পূর্বাঞ্চলের ডিসিপি স্মরণ কুমরা সিং ঘোষণা দিয়েছেন, গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম ও হোটেল ল্যান্ডমার্ক এলাকা ডিসিপি, অতিরিক্ত ডিসিপি ও এসিপি সমমানের কর্মকর্তার নেতৃত্বে সেক্টর, জোন ও সাব-জোনে ভাগ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের সময়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে সিরিজ শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রচারণা চালিয়ে আসছিল ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এরপর তাদের পক্ষ থেকে কানপুর টেস্ট ও গোয়ালিয়রে হতে যাওয়া বাংলাদেশ-ভারতের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হামলার হুমকি দেওয়া হয়।
এবার দুই দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দিন ‘গোয়ালিয়র বনধ’ তথা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। টেস্ট সিরিজ শেষে মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়রে আগামী ৬ অক্টোবর মাঠে গড়াবে দুই দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি। আসন্ন ম্যাচ দুটি বাতিলের দাবিতে আগেই হুমকি দেওয়া হয়। যদিও হিন্দু মহাসভার হুমকি আমলে নেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। ভেন্যু ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারতীয় পুলিশ।
এএইচএস