মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের যেসব সরকারপ্রধান

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশের যেসব সরকারপ্রধান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিইউয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তাদের মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। গত ২৩ বছরের বাংলাদেশের প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তিনি। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিইউয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে তাদের মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। গত ২৩ বছরের বাংলাদেশের প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন তিনি। 

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সরকারপ্রধান মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব দ্য হিস্টোরিয়ানের রেকর্ডে বলা হয়েছে, আমেরিকায় গিয়ে এখন পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের ছয়জন সরকারপ্রধান। 

মুজিব-ফোর্ড বৈঠক: ১৯৭৪ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেরার্ড ফোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রেসিডেন্ট ফোর্ড এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের বৈঠকটি ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। সে বৈঠকের অফিশিয়াল কথোপকথনের বিস্তারিত জেরার্ড ফোড প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরিতে প্রকাশ করা হয়েছিল।

জিয়া-কার্টার বৈঠক: ১৯৮০ সালে জাতিসংঘ অধিবেশন শেষ করে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজে যান। তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জিমি কার্টার। সে সময় আমেরিকার নির্বাচন ঘনিয়ে আসছিল। অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন মি. কার্টার। 

এরশাদ-রেগান বৈঠক: ১৯৮৩ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের তৎকালীন সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগানের সঙ্গে বৈঠক করেন। 

এরশাদ-বুশ বৈঠক: ১৯৯০ সালের অক্টোবরের শুরুতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল এইচ এম এরশাদ আবারো বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের (সিনিয়র) সঙ্গে। সে সময় নিউইয়র্কের একটি হোটেলে ৪০ মিনিটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। 

খালেদা-বুশ বৈঠক: ১৯৯২ সালের মাচে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে প্রায় একঘণ্টা যাবত সে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

হাসিনা-ক্লিনটন বৈঠক: ২০০০ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের দুইবার বৈঠক হয়েছে। ২০০০ সালের মার্চ মাসে ঢাকা সফরে আসেন বিল ক্লিনটন। মি. ক্লিনটন ছিলেন একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ক্ষমতায় থাকার সময় বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। এর আগে কিংবা পরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করেননি। এর সাত মাস পরে শেখ হাসিনা হোয়াইট হাউজে গিয়ে ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ক্লিনটন ঢাকা সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন।

২০০০ সালের অক্টোবরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে পুনরায় বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে।

সূত্র : বিবিসি

কেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *