নানা দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বলাকা কার্যালয়ের কর্মীরা। এ সময় তারা বিমানের চিফ ফাইন্যানশিয়াল অফিসার (সিএফও) মো. নওশাদ হোসেন ও লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডিজিএম মো. রাশেদ মেহের চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করেন। রোষের মুখে একপর্যায়ে তারা পালিয়ে অফিস ছাড়তে বাধ্য হন।
নানা দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বলাকা কার্যালয়ের কর্মীরা। এ সময় তারা বিমানের চিফ ফাইন্যানশিয়াল অফিসার (সিএফও) মো. নওশাদ হোসেন ও লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডিজিএম মো. রাশেদ মেহের চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করেন। রোষের মুখে একপর্যায়ে তারা পালিয়ে অফিস ছাড়তে বাধ্য হন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিমানের কার্যালয়ে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
এ সময় নওশাদ হোসেন ও রাশেদ মেহের চৌধুরীর দরজায় বিমান কর্মীরা ‘খুনি হাসিনার দালাল প্রবেশ নিষেধ’ লেখা কাগজ এঁটে দেন।
বিক্ষুব্ধ বিমানকর্মীরা জানান, বিমানের সিএফও দীর্ঘদিন ধরে বিমানে অনিয়ম-দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের প্রভাবে খুবই বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিলেন। এখন তাদের আর বিমানে থাকার অধিকার নেই। আমরা তাকে অফিস করতে দেব না।
এ ছাড়া, বিমানের লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডিজিএম মো. রাশেদ মেহের চৌধুরীর প্রত্যাহার চেয়েছেন শ্রমিকরা। তারা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিমানের শ্রমিকদের হয়রানি করে যাচ্ছেন। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের ছত্রছায়ায় বিমানে নানা সিন্ডিকেট করেছেন। সবশেষ সরকার পতনের কয়েকদিন আগে তাপসকে দেশ ছাড়তে সহায়তা করেছেন।
বিমানের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, বিক্ষোভ ও পদত্যাগের বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ বিভাগ কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে সকাল থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ডেপুটেশনে আসা কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এ ছাড়া, বিমানের হেল্পার পদের কর্মচারীরাও চাকরি স্থায়ী করার দাবি করেন।
এআর/এমজে