গণবিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যখন বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে তখনই তিনি ফিরে আসবেন। যদিও জয় এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, হাসিনা আর কখনোই দেশে ফিরবেন না।
গণবিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বার্তাসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যখন বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে তখনই তিনি ফিরে আসবেন। যদিও জয় এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, হাসিনা আর কখনোই দেশে ফিরবেন না।
৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ‘অবসরপ্রাপ্ত নাকি সক্রিয়’ রাজনীতিবিদ হিসেবে ফিরবেন সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয় অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
এছাড়া হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরাতে ভারত সরকারকে আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জয় বলেছেন, “হ্যাঁ এটি সত্যি, আমি বলেছিলাম তিনি (শেখ হাসিনা) দেশে ফিরবেন না। কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের উপর পুরো দেশজুড়ে হামলা চালানোর পর গত দুইদিনে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের মানুষদের নিরাপদ রাখতে যা করার দরকার তার সবই আমরা করব; আমরা তাদের একা ফেলে চলে যাব না। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও পুরোনো রাজনৈতিক দল। আমরা আমাদের মানুষদের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে পারব না। যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে তখন শেখ হাসিনা অবশ্যই দেশে ফিরবেন।”
আওয়ামী লীগ ভারতের সবসময়ের বন্ধু উল্লেখ করে জয় বলেছেন, বাংলাদেশে থাকা আওয়ামী নেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যেন ভারত চাপ দেয়।
এছাড়া নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে এতে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন হাসিনাপুত্র জয়। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। ডক্টর ইউনূসের ব্যক্তিগত মত যাই হোক তিনি সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং পুরোনো ভুলগুলো যেন ফিরে না আসে সেই কথা বলেছেন। আমি আশা করি তিনি তার কথা রাখবেন।
সূত্র: পিটিআই
এমটিআই