নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর সংলগ্ন সাগর মোহনায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ ৪ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচর সংলগ্ন সাগর মোহনায় একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ ৪ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা এগারটায় ভাসানচর সংলগ্ন সাগর মোহনায় ছেঁড়া খাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বোটে থাকা ২৩ যাত্রীর মধ্যে ১৯ জনকে জীবিত ও ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় কোস্টগার্ড।
নিহতরা হলেন, ভাসান চরের ৮৪ নং ক্লাষ্টারের মোহাম্মদ আবদুল্যাহর ছেলে আবদুল কাদের (৪), ৮৫নং ক্লাষ্টারের দিল মোহাম্মদের স্ত্রী লায়লা বেগম (৪৫), ৮০ নং ক্লাস্টারের মোহাম্মদ জাহারের ছেলে আজিজুল হক (৫), ৮ নং ক্লাস্টারের মোহাম্মদ রশিদের মেয়ে আসমিদা বেগম (৪)।
জানা যায়, শনিবার ভোরে চট্টগ্রামের ফিশারিজ ঘাট থেকে যাত্রী ও ২০ টন চাল এবং ১০ টন অন্যান্য মালামাল নিয়ে নোমান মাঝির ট্রলারটি ভাসান চরের কাছে বেলা এগারোটায় ছেঁড়া খালের কাছে আসলে প্রচণ্ড বাতাসে ও সাগরের ঢেউয়ে কাঠের ট্রলারটি ছিদ্র হয়ে ডুবে যায়। এ সময় বোটে থাকা ১৬ রোহিঙ্গা, ৫মাঝি মাল্লা ও ২ জন যাত্রীসহ মোট ২৩ জন ছিল। ট্রলার মাঝি ভাসানচরের বোট পরিচালনা কমিটির কাছে দুর্ঘটনার কথা মোবাইলে জানালে তারা কোস্টগার্ডকে জানায়। কোস্টগার্ড জানায়, ঘটনার পর ভাসানচরের বোট পরিচালনা কমিটি দুর্ঘটনার বিষয়টি আমাদেরকে অবহিত করে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা উদ্ধার অভিযানে বের হই। বিকেল ৪টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনের মৃতসহ ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদেরকে ভাসানচরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মৃতদেরকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শনিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ২১ জন যাত্রী ও কিছু মালামাল নিয়ে একটি ট্রলার ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে মালবাহী ট্রলারটি ভাসানচর থেকে আট নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পৌঁছলে নিচে ছিদ্র হয়ে যায়। পরে যাত্রীদের মধ্যে ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বাকি তিন শিশু ও এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেরকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃতদেরকে ভাসানচরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসিব আল আমিন/এমএসএ