সৃজিতের সঙ্গী সাপ, মিথিলার কন্যা: শিল্পীদের দাম্পত্য টেকে না কেন?

সৃজিতের সঙ্গী সাপ, মিথিলার কন্যা: শিল্পীদের দাম্পত্য টেকে না কেন?

ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। যদিও একটা সময়ে দুইটি দেশই ছিল এক মানচিত্রে। ছিল না কোনো কাঁটাতার। যে কারণে দুই দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের মাঝেও নেই বিস্তর কোনো ফারাক। 

ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। যদিও একটা সময়ে দুইটি দেশই ছিল এক মানচিত্রে। ছিল না কোনো কাঁটাতার। যে কারণে দুই দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের মাঝেও নেই বিস্তর কোনো ফারাক। 

বিভিন্ন সময়ে ভারত-বাংলাদেশের শিল্পীরাও একে অন্যের দেশে কাজ করেছেন। যে কারণে দুই দেশের তারকাদের মাঝেও রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে হৃদয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মিলন যেমন হয়েছে, তেমন বিচ্ছেদও হয়েছে।

সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কাঁটাতার। কবীর সুমন-সাবিনা ইয়াসমিন থেকে অর্ণব-সাহানা, সৃজিত-মিথিলা অনেকেই সম্পর্কে নাম দিয়েছেন। পাশাপাশি থাকতে চেয়েছেন। কিন্তু এক ছাদের নিচেই বাকিটা জীবন কাটাতে পারেননি। 

সম্প্রতি দুই বাংলার তারকাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বললেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। দুই বাংলার শিল্পীদের দাম্পত্য দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

যেখানে কবীর সুমন ও সাবিনা ইয়াসমিনের উদাহরণ টেনে এনেছেন তিনি।  ২০০০ সালে সাবিনাকে বিয়ে করেছিলেন সুমন। তার কিছু দিন আগে সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে হয়েছিলেন কবীর সুমন। দুজনের দাম্পত্য মধুর হয়নি। বিচ্ছেদের পথে হাঁটে এই তারকা দম্পতি। 

সেই প্রসঙ্গ সামনে রেখেই তসলিমা প্রশ্ন তুলেছেন, পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার দাম্পত্য জীবন নিয়ে। তবে কি বিচ্ছেদের পথে হাঁটছে এই জুটি?

সুমন-সাবিনার দাম্পত্য জীবন নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। এখন সুমন থাকেন কলকাতায়, সাবিনা ফিরে গেছেন নিজের দেশে। এই ঘটনার বহু বছর পর কূটনৈতিক সীমানা ছাড়িয়ে ফের দু’টি মন এক হয়েছিল।

২০১৯ সালে বিয়ে করেছিলেন সৃজিত মুখার্জি ও রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা। কিন্তু তাদের সম্পর্কেও কি মেদ জমল এবার? সেই প্রশ্ন তুলে তসলিমা লেখেন, ‘বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের মধ্যে রোমান্টিক বা বৈবাহিক সম্পর্ক কেন টিকছে না? সাবিনা ইয়াসমিন আর কবীর সুমন বিয়ে করলেন। বিরাট হইচই হল। দু’জনে কিছুদিন একসঙ্গে গান গাইলেন। এর পর নিস্তব্ধতা। যে যার মতো যার যার দেশে জীবন যাপন করছেন। সাবিনা আর সুমনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক অবশিষ্ট রয়েছে বলে মনে হয় না। এরপর সৃজিত আর মিথিলা বিয়ে করলেন। বিরাট হইচই হল। দু’জনে কিছু দন একসঙ্গে চলাফেরা করলেন। এরপর নিস্তব্ধতা। যে যার মতো যার যার দেশে জীবনযাপন করছেন। সৃজিত তার ১০/১২টা সাপ নিয়ে, আর মিথিলা তার কন্যা নিয়ে। মিলন থাকলে বিচ্ছেদ থাকে, এ নতুন কিছু নয়।’

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতায় যাতায়াত কমেছে মিথিলার। চাকরির কাজে বেশির ভাগ সময় কাটে তানজানিয়ায়। অন্যদিকে সৃজিতের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে। এসবের মাঝেই সম্প্রতি তাদের সংসার ভাঙার খবর শোনা যাচ্ছে। মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশেই বেশি থাকছেন অভিনেত্রী। সৃজিতের পাশেও সেভাবে দেখা মিলছে না। 

সেই বিষয়টিই আরও একবার তুলে আনলেন তসলিমা নাসরিন। যদিও দুই দেশের নাগরিকের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী তসলিমা শেষে সংযোজন করেন, ‘দুই দেশের মানুষের মধ্যে হৃদয়ের বন্ধন দৃঢ় হলে অসাম্প্রদায়িকতার নিদর্শন চমৎকার হতে পারত।’

এনএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *