ঋণ শোধ করতে বাড়ি বিক্রি করেছিলেন অমিতাভ, জানালেন রজনীকান্ত

ঋণ শোধ করতে বাড়ি বিক্রি করেছিলেন অমিতাভ, জানালেন রজনীকান্ত

৩৩ বছর পর বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন ও দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত আবারও একসঙ্গে তামিল অ্যাকশন থ্রিলারে। ১৯৯১ সাল হাম ছবিতে প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দু’জন। লম্বা সময় পর আবারও পর্দায় দেখা যাবে তাদেরকে। 

৩৩ বছর পর বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন ও দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত আবারও একসঙ্গে তামিল অ্যাকশন থ্রিলারে। ১৯৯১ সাল হাম ছবিতে প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দু’জন। লম্বা সময় পর আবারও পর্দায় দেখা যাবে তাদেরকে। 

দিনকয়েক আগে রজনীকান্ত একটি সাক্ষাৎকারে অমিতাভ বচ্চন সম্পর্কে এমন একটি ঘটনা প্রকাশ করেছিলেন, যা অনেকেরই অজানা। 

বিগ বি-র প্রশংসায় পঞ্চমুখ রজনীকান্ত জানান, একটা সময় কতটা ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা যা শোধ করার জন্য দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতেন। এমনকি তাকে নাকি বাড়ি বিক্রিও করতেও হয়েছিল।

রজনীকান্ত জানান, ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন সময়ে অমিতাভ সবকিছু ছেড়ে একা জীবনযাপন শুরু করেন। যদিও সেটা খুবই কম সময়ের জন্য হয়েছিল। 

অমিতাভ তার নিজের কোম্পানি ‘অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেড’ চালু করার পর আবারও কাজ শুরু করেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, এবিসিএলও সাফল্যের মুখ দেখেনি। তারপর বিগ বি খুবই সমস্যায় পড়েছিলেন বলে জানান রজনীকান্ত।

সেই কঠিন সময় অমিতাভ তার জুহুর বাড়িসহ মুম্বাইয়ের সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। রজনীকান্ত বলেন, ‘একদিন তিনি হনুমান টুপি পরে যশ চোপড়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন। অমিতাভের নিজের ড্রাইভারও ছিল না সেই সময়। বেতন দিতে না পারায় ড্রাইভার ছাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’

রজনীকান্ত আরও বলেন, ‘তিনি যশের কাছে কাজ চেয়েছিলেন। যশ সবটা বুঝতে পেরে একটি চেক অমিতাভকে দেন। অমিতাভ বচ্চন বিনা কারণে টাকা নিতে নারাজ। বলেছিলেন, কাজ করলে তবেই টাকা নিতে পারি। এভাবে তিনি মহব্বতে ছবিতে সুযোগ পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এরপরই কেবিসিতেও সুযোগ পেয়েছিলেন অভিনেতা।’

অমিতাভ প্রসঙ্গে রজনীকান্ত আরও বলেন, ‘সব ধরনের বিজ্ঞাপন তিনি করেছেন। যা দেখে ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা নানা সমালোচনা করেন। তিন বছর ধরে নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যেও তিনি দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেছিলেন এবং তাদের সকল পাওনা মিটিয়েছিলেন। শুধু পুরোনো বাড়িই ফেরত পাননি, এরপর একই রাস্তায় মোট তিনটি বাড়িও কিনেছিলেন অভিনেতা।

এনএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *