৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে সবার আগে পদত্যাগ করেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। টেস্টে বাংলাদেশের অভিষেক অধিনায়ক ও পরিচালকের কয়েকদিন পর পদত্যাগ করেন আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। দুই সাবেক অধিনায়কের পাশাপাশি সাবেক ক্রিকেটার এনায়েত হোসেন সিরাজও পদত্যাগ করেছেন। তবে সিরাজের পদত্যাগের বিষয়টি বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, প্রকাশ করেননি সিরাজ নিজেও।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে সবার আগে পদত্যাগ করেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। টেস্টে বাংলাদেশের অভিষেক অধিনায়ক ও পরিচালকের কয়েকদিন পর পদত্যাগ করেন আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। দুই সাবেক অধিনায়কের পাশাপাশি সাবেক ক্রিকেটার এনায়েত হোসেন সিরাজও পদত্যাগ করেছেন। তবে সিরাজের পদত্যাগের বিষয়টি বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি, প্রকাশ করেননি সিরাজ নিজেও।
বিসিবির পরিচালক সংখ্যা ২৫ জন। বরিশাল বিভাগের পরিচালক আলমগীর আলো মৃত্যুবরণ করেছেন কয়েক মাস আগেই। একজন পরিচালক কম নিয়েই বিসিবি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এতদিন। ৫ আগস্ট প-পরিবর্তনের পর তিনজন পদত্যাগ করায় এখন পরিচালক সংখ্যা নেমে গেছে ২১ জনে।
২১ আগস্ট ফারুক আহমেদ বিসিবির সভাপতি হওয়ার পর ইতোমধ্যে পাঁচটি (দুটি জরুরি) বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে একটিতেও অংশগ্রহণ করেননি এমন পরিচালকের সংখ্যা ১১। তারা হলেন– নাজমুল হাসান পাপন, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, তানভীর আহমেদ টিটো, মঞ্জুর কাদের, নজীব আহমেদ, আ জ ম নাসির, শফিউল ইসলাম চৌধুরি নাদেল, গাজী গোলাম মোর্তজা, ওবায়েদ নিজাম, শেখ সোহেল ও আনোয়ারুল করিম চৌধুরি। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী টানা তিন সভা অনুপস্থিত থাকলে উক্ত পরিচালকের পদশূন্য ঘোষণায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার এখতিয়ার পরিচালনা পর্ষদের রয়েছে। আজকের সভায় এই ১১ জনের পরিচালক পদ শূন্য হিসেবে ঘোষণা আসার কথা।
৫ আগস্টের আগেই অনেক পরিচালক বিসিবির টানা তিনটি সভায় অংশগ্রহণ করেননি। সেই সময় বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বর্তমানে সক্রিয় পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ ২০২২ সালের জুন থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা পাঁচ সভা অনুপস্থিত ছিলেন। মঞ্জুর কাদের, শেখ সোহেল ও আ জ ম নাসির টানা তিনটির বেশি সভা মিস করেছিলেন।
এদিকে, তিন জনের পদত্যাগ, ১১ জনের পদশূন্য ও একজন মৃত্যুবরণ– সবমিলিয়ে বিসিবির পরিচালক শূন্যতা বেড়ে দাঁড়াবে ১৫–তে। সক্রিয় পরিচালক থাকেন মাত্র ১০ জন। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের এক তৃতীয়াংশ উপস্থিতি প্রয়োজন কোরামে। ২৫ জনের পরিচালনা পর্ষদে ৯ জন উপস্থিত হলেই কোরাম পূর্ণ হয়। ফলে ফারুক আহমেদের দশজন বোর্ড পরিচালনায় নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বাধা নেই।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের পর পরিচালক পদ শূন্য হলে পরিচালনা পর্ষদ শূন্যতা পূরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আজকের সভায় পদ শূন্য ঘোষণার পাশাপাশি শূন্যতা পূরণেও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা। বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ গঠনতন্ত্র সংস্কার করে শূন্য পদ পূরণ করবে নাকি বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের আলোকেই স্ব স্ব ক্যাটাগরির পরিচালক পুনরায় নির্বাচন আয়োজন করবে সেটাই দেখার বিষয়।
এজেড/এএইচএস