সিনওয়ার সাদ্দাম হোসেনের মতো নয়, তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ : ইরান

সিনওয়ার সাদ্দাম হোসেনের মতো নয়, তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ : ইরান

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইরানের জাতিসংঘ মিশন। তারা বলেছে, সিনওয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গেছেন। তিনি ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মতো লুকিয়ে যাননি। যাকে পরবর্তীতে মার্কিন সেনারা গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছিল।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইরানের জাতিসংঘ মিশন। তারা বলেছে, সিনওয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গেছেন। তিনি ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের মতো লুকিয়ে যাননি। যাকে পরবর্তীতে মার্কিন সেনারা গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছিল।

ইরানি মিশন বিবৃতিতে লিখেছে, “যখন মার্কিন সেনারা ময়লা কাপড়ে আচ্ছাদিত সাদ্দাম হোসেনকে মাটির নিচের গর্ত থেকে বের করে, তিনি তাদের কাছে অনুরোধ করেন তাকে যেন হত্যা না করা হয়। যদিও তার কাছে অস্ত্র ছিল। যারা সাদ্দাম হোসেনকে তাদের প্রতিরোধের মডেল হিসেবে বিবেচনা করত তাদের সেই প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে।”

“কিন্তু যখন মুসলিমরা যুদ্ধক্ষেত্রে সিনওয়ারের শহীদ হওয়ার বিষয়টি দেখবে— যিনি অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত এবং খোলা জায়গায় ছিলেন, লুকিয়ে না থেকে শত্রুদের মোকাবেলা করেছেন— তখন তাদের প্রতিরোধের আকাঙ্খার শক্তি বৃদ্ধি পাবে।”

সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে সিনওয়ারকে তুলনা করে ইরানের জাতিসংঘ মিশন কেন এ বিবৃতি দিল তা স্পষ্ট নয়।

তবে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে শিয়া মুসলিমদের বিরুদ্ধে একাধিক গণহত্যা চালানোর অভিযোগ ছিল। এমনই একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ফাঁসিতে ঝোলানো হয় তাকে। এর আগে মার্কিন সেনারা ২০০৩ সালে তাকে আটক করেছিল। ওই বছর ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তারা সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটিতে নির্বাচন আয়োজন করে। তবে সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে ইরাক।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *