সাভারে সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীসহ ৩২১ জনের নামে হত্যা মামলা

সাভারে সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীসহ ৩২১ জনের নামে হত্যা মামলা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন (১৯) হত্যার ঘটনায় সাভারে সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীসহ ৩২১ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন (১৯) হত্যার ঘটনায় সাভারে সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীসহ ৩২১ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আব্দর রাশিদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এদিন সকালে সাজ্জাতের বাবা সাভারের আউকপাড়া এলাকার আলমগীর বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলাটি করেন।

নিহত সাজ্জাদ সোঁনারগাওয়ের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এনাম, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার শানজিদা আক্তার মুক্তা,  ৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার মশিউর রহমান খান সম্রাট, ১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার রমজান আহমেদ, ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান জিএস মিজান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, এরশাদুর রহমান এরশাদ, আব্দুল হালিম, সুজন মিয়া, আতাবুর ওরফে শিপন, মিনহাজ উদ্দিন মিনা, ইলিয়াস মিয়া, মহসিন বাবু, রিপনসহ আরও অনেকে।

নিহত সাজ্জাদের ছোট বোন নিশাদ তাসনিম বলেন, ৫ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে আমার ভাই সাজ্জাদ সাভার বাসস্ট্যান্ডে যায়। সেখান গেলে আমাদের পরিবার থেকে বেশ কয়েকবার তাকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু সে ফোন ধরেনি। এরপরে বিকেল ৪টার দিকে আমার বাবাকে একজন ফোন করে বলেন, ভাইয়ের গুলি লাগছে এবং সে এনাম মেডিকেলে আছে।  পরে আউকপাড়া থেকে আমাদের পরিবারের সবাই হাসপাতালে যায়। এরপর ৬ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাইয়ের হত্যার বিচারের জন্য আমার বাবা সাভার থানায় একটি মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানা পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আব্দুর রাশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আলমগীর নামে এক ব্যক্তি একটি হত্যা মামলা করেছেন। ৩২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছে।

লোটন আচার্য্য/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *