সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও সাবেক ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীকে খুমেক হাসপাতাল থেকে ফিল্মিস্টাইলে অপহরণের অভিযোগে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও সাবেক ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীকে খুমেক হাসপাতাল থেকে ফিল্মিস্টাইলে অপহরণের অভিযোগে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন। এ ছাড়া এজাহারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন হাসপাতালের হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে কয়েকজন লোক জোরপূর্বক ভুক্তভোগীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান।

আদালতে বাদি অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় চিকিৎসা শেষ হওয়ার পূর্বে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়। আসামিরা অত্যন্ত ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আবার মামলা করেছেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল হক বলেন, ২৭ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে তাকে প্রকাশ্যে ফিল্মিস্টাইলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। একটা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয় এবং তাকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়। বর্তমানে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা হওয়ায় মেয়েটি আমাদের কাছে আসে। এখন সে ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত হয়েছে এবং সত্য কথা বলার জন্য প্রস্তুত। তার বক্তব্য শুনে আমরা নারী ও শিশু আইনে অপহরণ করা এবং সহযোগিতা করার জন্য আদালতে মামলার আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এজাহারে উল্লিখিত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

মোহাম্মদ মিলন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *