গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১২ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করেছেন ভারতীয় একদল জেলে। শনিবার বিকেলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা থানায় নেওয়া হয়েছে ওই বাংলাদেশিদের।
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১২ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করেছেন ভারতীয় একদল জেলে। শনিবার বিকেলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা থানায় নেওয়া হয়েছে ওই বাংলাদেশিদের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত লাগোয়া সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশি মাছ ধরার একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। গভীর সমুদ্রে অথৈ জলে পড়া বাংলাদেশি জেলেদের উদ্ধারে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় জেলেরা। তারা ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১২ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করেছেন।উদ্ধারের পর শনিবার বিকেলের দিকে ওই বাংলাদেশিদের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে এফবি পারমিতা ফাইভ নামের একটি ভারতীয় ট্রলার সমুদ্র থেকে উপকূলের দিকে ফেরার সময় কেঁদুয়া দ্বীপের কাছে সাগরে দু’জনকে ভাসতে দেখে।
পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপের বাসিন্দা ও এফবি পারমিতা ফাইভের জেলে সুবলচন্দ্র দাস বলেন, আমরা গত বুধবার নামখানা থেকে যাত্রা শুরু করি। পরের দিন আকাশের অবস্থা খারাপ দেখে উপকূলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় হঠাৎ দেখা যায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় দু’জন ভাসছেন। কেঁদুয়া দ্বীপের কাছাকাছি। সন্ধ্যা তখন সাড়ে ৫টা ৬টা বাজে। আমরা চিৎকার করি। এরপর এগিয়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। পরে দেখি আরও কয়েকজন বাঁশ, ফুটবল নিয়ে ভাসছেন। তাদেরও উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে ডুবে যাওয়া বাংলাদেশি ট্রলারের একজন জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। উদ্ধারের পর বাংলাদেশি জেলেদের পাথরপ্রতিমা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সাগর থেকে জেলেদের উদ্ধারের পর বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ভারতীয় জেলেরা। যে কারণে এফবি পারমিতা ফাইভ ট্রলারে করে তাদের ভারতে নেওয়া হয়েছে।
গভীর সমুদ্রে অথৈ পানি থেকে উদ্ধারের এই ঘটনায় ভারতীয় জেলেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশি ওই জেলেরা। বাংলাদেশি এক জেলে বলেন, আমরা পটুয়াখালী জেলা থেকে সাগরে মাছ ধরতে এসেছিলাম। ভারতের ভাইয়েরা আমাদের উদ্ধার করেছে। প্রাণ ফিরে পেয়ে তাদের ধন্যবাদ জানাই।
এসএস