লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর (আইএএফ) হামলায় হামাসের স্থানীয় নেতা ফাতাহ শরিফ আবু আল-আইন তার স্ত্রী-সন্তানসহ নিহত হয়েছেন। একই দিন কাছাকাছি সময়ে বৈরুতে নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের বামপন্থি দল পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিইএলপি) তিন নেতা।
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর (আইএএফ) হামলায় হামাসের স্থানীয় নেতা ফাতাহ শরিফ আবু আল-আইন তার স্ত্রী-সন্তানসহ নিহত হয়েছেন। একই দিন কাছাকাছি সময়ে বৈরুতে নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের বামপন্থি দল পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিইএলপি) তিন নেতা।
ফাতাহ শরিফ আবু আল-আইনের নিহতের সংবাদ সোমবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে হামাস। বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “সোমবার হামাসের লেবানন শাখার নেতা ফাতাহ শরিফ আবু আল-আইন সোমবার দক্ষিণ লেবাননের আল-বাস শিবিরে নিজ ঘরে অবস্থানকালে আগ্রাসনকারী শক্তির বিমান হামলায় শহীদ হয়েছেন। হামলায় তার স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাও শাহাদাত বরণ করেছেন।’
১৯৮৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হামাস তার জন্মলগ্ন থেকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পক্ষে। এই গোষ্ঠীর সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি গাজা, তবে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং লেবাননেও গোষ্ঠীটির কার্যক্রম বিস্তৃত। ফাতাহ শরিফ হামাসের লেবানন শাখার নেতা ছিলেন।
গত কয়েক দশকে গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শরণার্থী হিসেবে দক্ষিণ লেবাননে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের অর্থায়নে তাদের জন্য বেশ কিছু শরণার্থী শিবির স্থাপন করে দিয়েছে লেবাননের সরকার।
এসব শিবিরে ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য জাতিসংঘের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে কয়েকটি স্কুল রয়েছে। লেবাননের নাগরিক ফাতাহ শরিফ ছিলেন এমন একটি স্কুলের শিক্ষক। স্কুলে চাকরিরত অবস্থাতেই হামাসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি এবং একসময় নেতা হয়ে ওঠেন। তার প্রধান দায়িত্ব ছিল দু’টি— হামাসের ফিলিস্তিন ও লেবানন শাখার মধ্যে সমন্বয় করা এবং গোষ্ঠীতে নতুন সদস্য রিক্রুট করা। হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে গত মার্চে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
এদিকে সোমবার ভোরে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের আবাসিক এলাকা কোলায় অভিযান চালিয়েছে বিমান বাহিনী। এই অভিযানে নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের বামপন্থি রাজনৈতিক গোষ্ঠী পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের (পিইএলপি) তিন নেতা। এরা হলেন পিইএলপির সামরিক নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আবদেল-আলাল, সেনা কমান্ডার ইমাদ ওদেহ এবং জ্যেষ্ঠ সদস্য আবদেলরাহমান আবদেল-আল। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পিইএলপি।
এএফপি/টাইমস অব ইসরায়েল
এসএমডব্লিউ