ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আলমগীর হোসেনকে চাকরিচ্যুত, ডিজাবের নিন্দা

ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আলমগীর হোসেনকে চাকরিচ্যুত, ডিজাবের নিন্দা

ডিফেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিজাব) সভাপতি ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার বার্তা প্রধান আলমগীর হোসেনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ডিজাব।

ডিফেন্স জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিজাব) সভাপতি ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার বার্তা প্রধান আলমগীর হোসেনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ডিজাব।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডিজাবের দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ তথ্য জানানো হয়েছে।

আলমগীর হোসেন জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় অফিসের কয়েকজন কুচক্রীর পূর্ব পরিকল্পিত এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বহিরাগত কিছু লোকজন এনে ‘মব পরিস্থিতি’ তৈরি করে তাকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে। মূলত গত কয়েকদিন ধরে তাদের অফিসের  কয়েকজন মিলে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের দুই-তিনজনকে (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, প্রকাশক ও  বার্তা প্রধান) যেকোনো উপায়ে সরিয়ে তারা পত্রিকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছিলেন। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ৩০ থেকে ৪০ জনের বহিরাগত একটি দল অফিসে প্রবেশ করে নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয় দিয়ে হুমকি-ধামকি এবং উগ্র আচরণ দেখিয়ে অফিসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ঠিক তখনই অফিসের কয়েকজন কুচক্রী তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রকাশ্যে মনগড়া মিথ্যা অভিযোগ তুলে এক ধরনের জিম্মি পরিস্থিতির তৈরি করে। যার এক পর্যায়ে তিনি ইস্তফা দিতে বাধ্য হন।

তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কুচক্রীরা নানা মিথ্যা ‘ট্যাগ’ লাগিয়ে যে নোংরা ষড়যন্ত্র করেছে তাতে আমি হতভম্ব ও মর্মাহত।

ডিজাব সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ উল্লাহসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা এভাবে মিথ্যা ট্যাগ লাগিয়ে চাকরিচ্যুত করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

ডিজাব নির্বাহী কমিটি মনে করে আলমগীর হোসেন অত্যন্ত পেশাদার একজন সাংবাদিক। তিনি সশস্ত্র বাহিনী বিটের এবং অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় সব সময় পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে ডিজাব। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছে ডিজাব নির্বাহী কমিটি।

এমএসি/এসএসএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *