বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরে আমাকে ৭ বছরের বেশি সময় জেলখানায় রাখা হয়েছে। ৬০ দিন রিমান্ডে কাটাতে হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরে আমাকে ৭ বছরের বেশি সময় জেলখানায় রাখা হয়েছে। ৬০ দিন রিমান্ডে কাটাতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর অফিস উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। বিগত ১৫ বছর যাবত ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসসহ প্রতিটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে বিরাধী দলের কোনো ঠাঁই হয়নি। ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভ ও গণ আক্রোশে শেখ হাসিনা তার বোনকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছে। এ জন্য ক্ষমতায় এসে কোনো অহংকার, দাম্ভিকতা, মানুষের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়া, নিজেকে শক্তিশালী মনে করা ঠিক নয়। রাজনীতিতে সব সময় মানুষকে ভালোবাসা, মানুষের দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকা, ভাই হিসেবে ভাইয়ের পাশে থাকা, ভালোবেসে মানুষের অন্তর জয় না করতে পারলে সে রাজনীতিতে কখনো মানুষ ভালোবাসা পায় না।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশংসা করেন এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল ভালো কাজে তাদের পাশে আছি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে যত ভালো কাজের উদ্যোগ নেওয়া হবে সেসব কাজের সঙ্গে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ পুনরায় স্বাধীন হয়েছে, তাই দেশের মানুষের অধিকার পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দলমত নির্বিশেষে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারীদের মাগফিরাত এবং দেশের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
খানজাহান আলী থানার আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটোর সভাপতিত্বে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম ও গাওসুল আযম হাদী, বায়তুল মাল সম্পাদক হাফেজ আমিনুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।
খানজাহান আলী থানার সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফুলতলা উপজেলার আমির অধ্যাপক আব্দুল আলীম মোল্লা, ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা জেলা সভাপতি বেলাল হুসাইন রিয়াদ, সেক্রেটারি আবু ইউসুফ ফকির, খানজাহান আলী থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আল আমিন হোসেন, সেক্রেটারি আল ইমরান শেখ প্রমুখ।
মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ