লোকালয়ে আটকা পড়া বনবিড়াল উদ্ধারের পর অবমুক্ত

লোকালয়ে আটকা পড়া বনবিড়াল উদ্ধারের পর অবমুক্ত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে আটকা পড়া একটি বন বিড়ালকে উদ্ধারের পর কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে আটকা পড়া একটি বন বিড়ালকে উদ্ধারের পর কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মিস্ত্রিপাড়া বাজারের একটি দোকানে ঢুকে আটকা পড়লে বিড়ালটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা প্রাণী কল্যাণ সংগঠন এনিমেল লাভার অব পটুয়াখালী সংগঠনের সদস্যদের খবর দিলে তারা এসে বিড়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। 

স্থানীয়রা জানান, বন বিড়ালটি মিস্ত্রিপাড়া বাজারের একটি দোকানের মধ্যে কোথা থেকে যেন দৌড়ে এসে ঢুকে পড়ে। বাজারের লোকজন ছোটাছুটি করে ওই দোকানের সামনে জড়ো হতে থাকে। এরপর এলাকাবাসী এটিকে ধরে ফেলে।

এ বিষয় এনিমেল লাভার অব পটুয়াখালী প্রাণী কল্যাণ সংগঠনের সদস্য কে এম বাচ্চু ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিড়ালটির বয়স আনুমানিক ১২-১৪ মাস হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে সে খাবারের সন্ধানে বনাঞ্চল ছেড়ে লোকালয়ে এসেছিল। উদ্ধার করার পরে এটিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হয়। 

বাংলাদেশ বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, বন বিড়ালের খাবারের বড় অংশ হচ্ছে হচ্ছে ঘাসফড়িং জাতীয় বড় পোকা ও ইঁদুর। যেগুলো আমাদের ক্ষেত-খামারে থাকে এবং ফসলের ক্ষতিসাধন করে। তাই বনবিড়াল গৃহপালিত মুরগি-কবুতর ধরে নিয়ে খেয়ে যতটুকু ক্ষতি করে তার থেকে অনেক বেশি উপকার সাধন করে থাকে পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিগুলোর। এরা নিশাচর। গাছের উপর উঠে রাতের আধারে এরা ছোট পাখি বা পাখির ডিম, ছানা প্রভৃতি শিকার করে খায়। এক লাফে কয়েক ফুট দূরে যেতে পারে। দিনের বেলায় এরা লতাপাতাঘেরা বড় গাছের কোটরে ঘুমায় বা তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। প্রজনন মৌসুমে গাছের কোটরে দুই থেকে চারটি ছানা প্রসব করে।

তিনি আরও জানান, গ্রামগঞ্জ থেকে প্রাকৃতিক জঙ্গল, জলাভূমিগুলো ধ্বংস হওয়ার কারণে বন বিড়াল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) বনবিড়ালকে ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ বলে তালিকাভুক্ত করেছে।

এসএম আলমাস/পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *